অন্তত চারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন পার্থ!
নিউজ ডেস্ক::স্কুল সার্ভিস কমিশনে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
এর আগে প্রায় দীর্ঘ ২৭ ঘন্টা জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানা যায়, শনিবার গভীর রাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও গ্রেফতারের আগে এবং পরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
অন্তত চারবার তাঁকে ফোন করার চেষ্টা তৃণমূল মহাসচিব চালিয়েছেন বলেও খবর। কিন্তু একবার তাঁর ফোন মুখ্যমন্ত্রী ধরেননি বলেই খবর।
ইডির অ্যারেস্ট মেমোতে (arrest memo) এই বিষয়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে বলে খবর। আর সেখানে বলা হয়েছে 2:32 am থেকে 9:35 am পর্যন্ত অন্তত চারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন পাথবাবু। কিন্তু একবারও ফোন ধরেননি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অ্যারেস্ট মেমোতে (arrest memo) আরও বলা হয়েছে, বেশ কয়েকবার এই বিষয়ে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি মেমোতে মুখ্যমন্ত্রী’র কোন নম্বরে ফোন করা হয়েছিল সেটিও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেও যে পাননি তা নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব। জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থবাবু জানিয়েছিলেন, আমি চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পাইনি। যদিও এই প্রসঙ্গে অবশ্য ফিরহাদ হাকিম জানিয়ছিলেন, এই বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। এই ধরণের রেড হলে আগে মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয় তাহলে কিভবে ফোন করলেন। তা নিয়েই কার্যত প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তবে এই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলেও দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। তবে এই বিষয়ে টুইট করেছেন অমিত মালব্য। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী সব জানেন।
অন্যদিকে ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রথম ফোনটি করেন 2:32 am-এ। কিন্তু ধরেননি। রাতারাতি ফের একবার নেত্রীকে ডায়েল করেন বিধায়ক। তখন সময় ঘড়িতে 2:33 am। কিন্তু ফোন বেজে যায়। এরপর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা। আরও একটি সুযোগ ইডি আধিকারিকরা পার্থবাবুকে দেন। আর সেই মতো এক ঘন্টা পর অর্থাৎ 3:37 am-এ ফের একবার ন ঘোরান। কিন্তু ফোনের ওপারে থাকা নেত্রীর ফোন আবারও বেজে যায়। শেষবার 9:35 am-এ আরও একবার ফোন করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন বেজে যায়। আর পুরো বিষয়টিই মেমোতে রয়েছে বলে দাবি ইডির।
বলে রাখা প্রয়োজন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে তৃণমূল। বিশেষ করে বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে ২০ কোটি উদ্ধার হতেই অস্বস্তি বেড়েছে।