ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসেন সকলে, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা হাসপাতালে
নিউজ ডেস্ক:: ধূপগুড়ি গ্রামীন হাসপাতাল। প্রতিদিনই বিভিন্ন কাজে হাসপাতালে ভিড় জমান ওই এলাকার অসংখ্য বাসিন্দা। একইরকম ছবি ছিল আজও। দুপুরে জলপাইগুড়ির হাসপাতালে ভিড়ও ছিল রোগী ও তাঁদের পরিজনদের।
হঠাৎ প্রবল হুলুস্থুলু। হাসপাতালের অন্বেষা বিভাগে শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি, সঙ্গে চিৎকার। ঘটনার পিছনে রয়েছে সাপ। রোগীদের একাংশের অভিযোগ, হাসপাতালে একটি ঘরে টেবিলের তলা থেকে বেরিয়ে এসেছে সাপ।
হাসপাতালের অন্বেষা বিভাগে কাউন্সেলিং করাতে এসেছিলেন অনেকে। এক রোগী স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। স্থানীয় সূত্রে দাবি, সেই সময় আচমকাই তিনি দেখেন স্বাস্থ্যকর্মীর টেবিলের তলা থেকে কোনও একটা প্রাণী মুখ বাড়াচ্ছে। ভাল করে দেখতে যেতেই আঁতকে ওঠেন তিনি। দেখতে পান, ওই প্রাণীটি আসলে একটি সাপ।
তা দেখেই আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। দৌড়ে বেরিয়ে আসেন অফিস ঘর থেকে। বিষয়টি বুঝতেই দৌড়ে বেরিয়ে আসেন ওই ঘরে থাকা স্বাস্থ্য কর্মী এবং বাকিরাও। প্রবল হুড়োহুড়িতে বেরিয়ে আসে সাপটিও। সেটি কখনও টেবিলের উপর কখনও আলমারির পাশে চলে যায়। স্বাস্থ্য কর্মী এবং রোগীদের চিৎকারে ভিড় জমে যায় বাইরে।
অন্য বিভাগের ডাক্তার ও রোগীরাও ছুটে আসেন সেখানে। সাপ দেখা মাত্রই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে গোটা হাসপাতাল চত্বরে।
সাপ দেখা মাত্রই ডাকা হয় পরিবেশপ্রেমী সংগঠনকে। ধূপগুড়ির পরিবেশ প্রেমী সংগঠন ডুয়ার্স নেচার এন্ড স্নেক লাভার্স অর্গানাইজেশনের সদস্যদের খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে আসেন পরিবেশপ্রেমীরা। কিছুক্ষণ পরেই উদ্ধার হয় ওই সাপটি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন হাসপাতালে ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীরা।
এক সর্প বিশেষজ্ঞ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সাপটি আসলে নির্বিষ দাঁড়াশ প্রজাতির সাপ। লম্বায় প্রায় ৪ ফুট ছিল, সাপটি উদ্ধারের পর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।