সত্যিই কি ছেড়ে দেবেন মন্ত্রিত্ব, কি বলছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্ক:: ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় পৌঁছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোমবারের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সোমবারই ভুবনেশ্বর AIIMS জানায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরর শারীরিক অসুস্থতা গুরুতর নয়।
তাই হাসপাতালে ভর্তিরও প্রয়োজন নেই। আর এক্ষেত্রেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি SSKM-এ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল? তাই কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে AIIMS এর সঙ্গে SSKM এর ভিন্ন মত? যদিও, এমনটা মানতে নারাজ SSKM’এর চিকিৎসক।
চিকিত্সক তুষারকান্তি পাত্র জানান, শনিবার ইডির কাছ থেকে যখন আসে, তাঁর হার্ট রেট আনস্টেবল। উনি প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ট্রিটমেন্ট পেয়েছেন। তাই দুটো পরিস্থিতি আলাদা।
সোমবার রাতেই ভুবনেশ্বর AIIMS-এ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিশেষ কেবিন থেকে সরিয়ে, নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের অতিথিভবনে।
অতিথি ভবনে রাত কাটিয়ে, ভোরবেলা, ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
তবে এবার আর অ্যাম্বুল্যান্স নয়, ED’র গাড়িতেই বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে পৌঁছয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি। আগে থেকেই এয়ারপোর্টে উপস্থিত ছিলেন আমাদের আরেক প্রতিনিধি অর্ণব মুখোপাধ্যায়।
ভোর ৫ টা ৪০-এ ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফ্লাইট। তাঁর সঙ্গে কলকাতায় ফেরেন, তাঁর আইনজীবী অনিন্দ্যকিশোর রাউত, এসএসকেএমের চিকিত্সক তুষারকান্তি পাত্র ও ED’র তদন্তকারী অফিসার মিথিলেশকুমার মিশ্র।
কলকাতায় সকাল ১০টা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারী অফিসাররা।
পার্থ ও অর্পিতাকে মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ED সূত্রে খবর।