আবার ফের সক্রিয় বঙ্গ রাজনীতিতে মিঠুন চক্রবর্তী
নিউজ ডেস্ক:: ফের বঙ্গ রাজনীতিতে সক্রিয় মিঠুন চক্রবর্তী । বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক সেরে বুধবারই মিঠুন দাবি করেছেন, ৩৮ তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আবার মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতন নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা মিঠুন। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে, তিনি বলেন, “কে বলতে পারে এখানেও তেমনটা হবে না!’’ তৃণমূলের গলায় অবশ্য এনিয়ে পাল্টা কটাক্ষের সুর শোনা গেছে। আর বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইস্যুতে মিঠুন বলেন, ”এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা, এত টাকা শুধু ওদের দুজনের হতে পারে না। ওরা অনেকের টাকা কাস্টোডিয়ান হয়ে সামলাত।”
এরপরই কটাক্ষের সুরে মিঠুন বলেন, ”আমার রিকোয়েস্ট স্যার আর ম্যাডাম দু’জনকেই, যে নিজেরা এত কষ্ট পাবেন না। সত্যি কথা বলে দিন, কষ্ট কম হয়ে যাবে। অপরের কষ্ট আপনি কেন নিয়ে ঘুরছেন? হিন্দিতে একটা কথা আছে “হাম তো ডুবে হ্যায়, সবকো সাথ লে ডুবেঙ্গে।” গতকালই অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন, “কিছুদিন আগেই ঘুম থেকে উঠে দেখলাম মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছে শিব সেনা আর বিজেপি। কে বলতে পারে এখানেও তেমনটা হবে না! স্বচ্ছ নির্বাচন হলে কালই বিজেপি বাংলায় সরকার গড়বে।’’
পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “উনি মাঝে মধ্যে কোনও কারণে শহরে আসেন। কখনও কখনও প্রচারের আলোয় ভেসে ওঠার শখ হয়। তিনি অনেক কথাই বলে থাকেন। এক বছরের মধ্যে আবার ভোট? ভাবছেন কী মশাই?’’
প্রসঙ্গত, ২৯৪ আসন বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভ্যায় ম্যাজিক ফিগার ১৪৮। বর্তমানে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৭। তার সঙ্গে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেওয়া ৫ বিধায়ককে যোগ করলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ২২২। সেক্ষেত্রে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়াবে ৭০। মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “নির্বাচনের ফলাফলের পর সত্যিই খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। যারা দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে, তাদের জন্যও কষ্ট পেয়েছি। খারাপ লেগেছে। এখনও বলছি যদি আরও কেউ যেতে চান, দয়া করে চলে যান।”