বিলাসবহুল এই বাড়ির মালিক অর্পিতাই!
নিউজ ডেস্ক ::স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি’র তদন্তে নেমে একের পর এক সম্পত্তির হদিশ পাচ্ছেন তদন্তকারী সংস্থার।
এমনকি কলকাতা তো বটেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং আর্পিতার বাড়ি-জমির খোঁজও মিলেছে। বিশেষ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবীকে গ্রেফতারের পর থেকে শান্তিনিকেতনের একাধিক বাড়ি-সম্পত্তির কথা সামনে এসেছে।
যদিও তথ্য বলছে ‘অপা’র মালিক শুধুই পার্থে’র বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। মালিকানাতে নাম নেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। বোলপুরের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক জানিয়েছেন, জমি এবং বাড়ি নথিতে একমাত্র অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামই রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই এই বাড়ি সংবাদশিরোনামে। বিশেষ করে অপা নামকে কেন্দ্র করে যাবতীয় বিতর্ক। অনেকে বলছে, অর্পিতার অ এবং পার্থের পা নিয়ে এই বাড়ির নাম অপা রাখা হয়েছে।
তবে শান্তিনিকেতনের বিলাসবহুল এই বাড়ি’ ২০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এখন বর্তমান মূল্য কোটি টাকা হবে। তবে এই বাড়ির বিষয়ে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ০.১৭ একর অর্থাৎ ১০ কাঠার বেশি জমিতে বিশাল এই বাড়ি তৈরি হয়েছে। বাড়ির দলিলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম তো রয়েছেই, এছাড়াও তাঁর মা মিনতি মুখোপাধ্যায়ের নামে রেকর্ড রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। জমির খতিয়ান ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৈরি হয়েছিল বলেঅ দাবি ওই আধিকারিকের।
যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম কোথাও নেই বলেই জানিয়েছেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক। তবে নজর ঘরাতে অর্পিতার নামে পার্থবাবু এই জমি কিনেছিলেন কিনা তা এখনঅ স্পষ্ট নয়। তবে কলকাতার এক বাসিন্দার কাছ থেকে এই জমি কেনা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে সূত্রে জানা যাচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জমিটি কিনলেই অর্পিতার নামে রেজিস্টার হয়। আর তা অন্তত ১০ বছর আগে কিনেছিলেন বলেও তথ্যে উঠে এসেছে। তবে হঠাত করে কেন শুধুই অর্পিতার নাম রাখা হল তা নিয়ে একটা প্রশ্ন রয়েছে।
অন্যদিকে শান্তিনিকেতনে অর্পিতার অপা এখন অন্যতম দর্শনীয় জায়গা হয়ে উঠেছে। শান্তিনিকেতনে বেরাতে যাচ্ছেন যারা তারাই সেখানে পৌঁছে যাচ্ছেন। বাড়ির সামনেই সেলফি তুলেছেন তাঁরা। যদিও ওই বাগানবাড়িতে রাজ্যের মন্ত্রী যেতেন কিনা তা নিয়ে একটা সন্দেহ রয়েছে। অনেকে বলছেন পার্থ বাবু নাকি সেখানে যেতেন। এমনকি তাঁর নিরাপত্তার জন্যে বাড়ির সামনে পুলিশঅ দেখেছেন। তবে আবার অনেকে এই তথ্য উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে অর্পিতা যে যেতেন তা সবাই স্বীকার করে নিয়েছেন।