নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক মমতার!
নিউজ ডেস্ক::জেলে গিয়ে কাঁথিতে সারদার প্রকল্প নিয়ে সুদীপ্ত সেনকে সোমবার নিজের দফতরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
দুপুর একটা নাগাদ ডাকা ওই বৈঠকে দফতরের সচিব, মধ্যশিক্ষা পর্ষগের সভাপতি, এসএসসির চেয়ারম্যানকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। সোমবারের ওই বৈঠকে শিক্ষা দফতরের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা (secretary) হাজির থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠকের পরেই নবান্নে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) । জেরায় মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, দাবি পুলিশের।
দুপুর একটায় বিকাশ ভবনে বৈঠক শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। সেই বৈঠকে নিজের দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা ছাড়াও, মধ্যশিক্ষা পর্যদের সভাপতি-সচিব, এসএসসির চেয়ারম্যানকে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষঞ্জ মহল মনে করেছে, ওই বৈঠকে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোমবারের বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নিজের দফতরের আধিকারিক পর্যায়ে রদবদলের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
সোমবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন, সেখানে মূল বিষয় হতে চলেছে নিয়োগ। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগের প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও আলোচনায় উঠে আসতে পারে রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষ নিয়োগ নিয়েও।
কেননা কলকাতা নিয়োগের দাবি এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ৫০০ দিনে পেরিয়েছে। শুক্রবার এসএসসির আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।
এই বৈঠকের পরেই নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজের মন্ত্রিসভার বদবদলের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নে কিনা এখন সেটাই দেখার। সাম্প্রতিক অতীতে দুই মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গুরুত্বপূর্ণ তিনটি দফতর ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। ফলে এইসব ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী কোনও সিদ্ধান্ত নেন কিনা এখন সেটাই দেখার।
স্কুলের নিয়োগে রয়েছে আইনি জটিলতা। এই অভিযোগ বারে বারে করেছিল রাজ্য সরকার। যদিও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বারে বারে বলেছিলেন, শিক্ষা দফতরের শূন্যপদে নিয়োগে আইনগত কোনও বাধা নেই।দ্রুত নিয়োগের কথাও তিনি বলেছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে শূন্যপদের তালিকা চেয়ে পাঠায়। আদালতে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা সচিব বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ২৩২৫ টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য।
অন্যদিকে প্রাথমিক ছাড়া এই মুহূর্তে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ২১, ৬৯৪।