এবার বিজেপির বিধায়ক পেলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব!
নিউজ ডেস্ক::তৃণমূলের জেলা সংগঠনে ব্যাপক রদবদল।
সেই রদবদলে অনেক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকে সরানো হয়েছে। আবার বেশ কয়েকজনকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একাধিক নেতাকে সরিয়ে মন্ত্রিসভার জন্য স্ট্যান্ডবাই করা হয়েছে। এদিন যেসব নেতাকে জেলার সংগঠনের নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das)। বিজেপির (BJP) এই বিধায়ককে (MLA) দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের বনগাঁ (Bongaon) সাংগঠনিক জেলায় সভাপতির পদ। তা নিয়ে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির।
তৃণমূলের সব থেকে বেশি সাংগঠনিক জেলা কমিটি রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। এই জেলা আয়তনে সব থেকে বড়। তবে এই রদবদলে দমদম ও ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব অর্থাৎ সভাপতির পদে কাউকে বসানো হয়নি। পরে এই দুই পদে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে বাগদার বিধায়ক বিশ্ববিদৎ দাসকে।
উল্লেখ করা যেতে পারে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন। সেই সময় তিনি বনগাঁ উত্তরের তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। এবং বাগদায় বিজেপি তরফে টিকিটও পেয়ে যান এহং জয়লাভ করেন। কিন্তু জয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি তৃণমূলে ফিরে যান। তবে তৃণমূলে
যোগ দিলেও এখনও তিনি বিজেপির বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি।
সাম্প্রতিক সময়ে এই বিশ্বজিৎ দাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভগিনী নিবেদিতা এবং রানি রাসমনির তুলনা করেছিলেন। গত ১৭ জুলাই তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ উপলক্ষে বাগদায় করা প্রস্তুতি সভায় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন কাজের নিদর্শ তুলে ধরেন। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের জন্য একাধিক কাজ করেছেন। দেশের ইতিহাসে এই ধরনের মানুষ পাওয়া কঠিন। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে এমন একজন নেত্রী রয়েছেন, যিনি বাংলার মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে তিনি ভগিনী নিবেদিতার ছায়া দেখতে পান
বলেও মন্তব্য করেছিলেন।
তৃণমূলের এই রদবদলে অবশ্য পরস্পরা বজায় রয়েছে। গত মে মাসে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূলে ফেরার পরেই তাঁকে বনগাঁর সাংগঠনিক জেলার জায়িত্ব দেওয়া দেওয়া হয়। এই দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।বিশ্বজিৎ দাসের মতো অর্জুন সিংও এখনও বিজেপির সাংসদ পদে ইস্তফা দেননি। এদিকে বিশ্বজিৎ দাসকে এই দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি।