পুজোর মধ্যেই কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগ!
নিউজ ডেস্ক::শিক্ষক নিয়োগের পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার!
একের পর এক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি সামনে এসেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই। আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর এই বিতর্কের মধ্যেই নিয়োগ নিয়ে তৎপর শিক্ষা দফতর।
পুজোর মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, বেআইনি কিছু করা হবে না।
নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যেই আজ সোমবার জরুরি বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ছিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সহ একাধিক সরকারি আধিকারিকরা। যেখানে নিয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেই খবর। বিশেষ করে আইনি জটিলতা কাটিয়ে কীভাবে নিয়োগ সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। এমনকি রুল এবং নিয়ম নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা বলে জানা যাচ্ছে।
তবে এই বৈঠকের পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি প্রায় ২১ হাজার নতুন পদে নিয়োগ নিয়ে কথা বলেন। মন্ত্রী জানান, আপার প্রাইমারি, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির নতুন শিক্ষক নিয়োগ দ্রুত শুরু হবে। একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষক পদেও নিয়োগ হবে বলে খবর। শুধু তাই নয়, নিয়োগের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়োগে রদবদল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তবে বেআইনি ভবে কিছু করা হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা তাঁর। আর এজন্যে আইন মন্ত্রীর কাছে সমস্ত কিছু পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
অন্যদিকে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়ে এদিন কোনও আলোচনা হয়নি বলেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। গত কয়েকদিন আগেই এই সমস্ত চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীরা বলেন, বৈঠক ফলপ্রসূ। মেধাতালিকাতে থাকা সবাইকেই চাকরির আশ্বাস অভিষেক দিয়েছেন বলে জানানো হয়। আর এরপরেই এই বৈঠক ঘিরে শুরু হয় এদকাধিক কল্পনা। যদিও ব্রাত্য জানিয়েছেন, এদিন কোনও আলোচনা হয়নি। তবে আগামী ৮ তারিখ ওরা আমার কাছে একটি চিঠি দিয়ে বসতে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আইনি কী প্রক্রিয়া রয়েছে, তা নিয়ে ৮ তারিখ আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, বেআইনি কিছু নয়। সহানুভূতির সঙ্গে বিষ্যটি দেখা হবে বলে দাবি তাঁর।
তবে নিয়োগ নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হতেই আশায় বুক বাঁধছেন রাজ্যের অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী। বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগেই ১৮ হাজার নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জমা পড়ে হাইকোর্টে। আর এরপরেই আদালত জানায়, নিয়োগে কোনও সমস্যা নেই। আর এরপরেই শিক্ষা দফতরের তরফে শুরু তৎপরতা।