ফের বিস্ফোরক অর্পিতা
নিউজ ডেস্ক::জোকা ইএসআই হাসপাতালে ঢোকার মুখে ফের বিস্ফোরক দাবি অর্পিতার ।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই হাসপাতালে ঢোকার সময় অর্পিতা সাংবাদিকদের বলেছেন,তাঁর অজান্তেই ফ্ল্যাটে টাকা রাখা হয়েছিল। এমনকী তিনি দাবি করেছেন তাঁর অনুপস্থিতিতে টাকা রাখা হয়েছিল ফ্ল্যাটে।
আদালতের নির্দেশ মেনেই আজ ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। পার্থ চট্টোপাধ্যা মুখ না খুললেও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কিন্তু গাড়ি থেকে নামতেই বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘টাকা আমার অজান্তে এব আমার অনুপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছিল। এই টাকা আমার নয়’। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এই দাবি নতুন করে জল্পনা বাড়িয়েছে। কারণ প্রথমে তিনি দাবি করেছিলেন এই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তারপরে আবার তিনি দাবি করেন এই টাকা কার তা তিনি জানেননা। একের পর এক স্ববিরোধী মন্তব্যে জল্পনা ক্রমশ জোরাল হচ্ছে।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নামার সময় বিস্ফোরক দাবি করলেও মুখ খোলেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গাড়ি থেকে নামার পর হুইল চেয়ারে বসিয়ে সোজা তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের ভেতরে। তবে আগের দুদিন পর পর বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছিলেন। ‘এই টাকা আমার নয়, সময় আসলেই সব বোঝা যাবে।’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যর পর জল্পনা শুরু হয়েছিল তাহলে টাকা কার? তার আগেরদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
নজির বিহীন নিরাপত্তায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোরাধ্যায়কে জোকা ইএসই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আজ। দুই জনের নিরাপত্তায় ৮৬ জন কেন্দ্রীয় বাগিনী নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের নিরাপত্তায় যাতে কোনও রকম
দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকেও নজর রাখা হয়েছিলে। ৬টি গাড়ির কনভয়ে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। জোকা ইএসআই হাসপাতালেও ছিল কড়া নিরাপত্তা। সাংবাদিকরা যাতে সহজে কাছে পৌঁছতে না পারেন সেকারণে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ২টি ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বিপুল সোনার গয়না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন সেই টাকা তাঁর নয়। একবার নয় একাধিকবার এই দাবি করেছেন তিনি। তারপরে আবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও দাবি করতে শুরু করছেন এই টাকা তাঁর নয়। তাঁর অনুপস্থিতিতে এবং তাঁর অজান্তেই সব কাজ হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে টাকা কর।