পার্থ-র ঘরে তালা ঝুলল বিধানসভায়
নিউজ ডেস্ক ::বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা।
তাঁর ঘরের দরজা থেকে খুলে নেওয়া হল নামের ফলক। এরপরই প্রাক্তন পরিষদীয় মন্ত্রীর ঘর নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘরটি আপাতত কারও জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে না বলেও ফলাও করে জানিয়ে দেওয়া হল স্পিকারের তরফে।
এসএসসির-র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সমস্ত দফতর থেকে। তিনি শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী ছিলেন, ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী। আর ছিলেন তথ্য প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রীও। পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে বিধানসভায় তাঁর নির্দিষ্ট একটি ঘর ছিল। সেই ঘরের সামনে ছিল তাঁর নামের ফলকও।
কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর গ্রেফতারি ও মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের পর বিধানসভায় বরাদ্দ ঘরটিও হারালেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় বরাদ্দ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে খুলে নেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত ফলকও।
বিধানসভার পক্ষ থেকে স্পিকার বা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আপাতত বন্ধ থাকবে ঘরটি। এখনই এই ঘর অন্য কাউকে দেওয়া হচ্ছে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ঘরটি অন্য কাউকে দেওয়া হচ্ছে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০১১ সাল থেকে পরিষদীয় মন্ত্রী। পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে তাঁকে ওই ঘরটি দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রী থাকাকালীন ওই ঘরটি তাঁর জন্য বরাদ্দ ছিল। এখন তিনি মন্ত্রী নন, তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত হয়েছেন।
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য যে ঘর ছিল তা আমাদের বিধানসভার ঘর। ওনার নিজস্ব ঘর তো ওটা নয়! এখন তিনি মন্ত্রিত্বে নেই, তাই ঘর থাকার কোনও প্রশ্নও নেই। আমরা ওই ঘরটি এখন সুরক্ষিত রাখছি। যতদিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, ঘরটি যেমন ছিল তেমনই থাকবে। এখন পর্যন্ত ওই ঘরটি আমাদের পক্ষ থেকে কারও জন্য বরাদ্দ করা হয়নি। করা হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনাও হয়নি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বা তিনি দুর্নীতি মামলায় ক্লিনচিট না পাওয়া পর্যন্ত বিধানসভাও তাঁর এতদিনের বরাদ্দ ঘর অন্য কারও জন্য না দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই ঘর আপাতত সংরক্ষিত রাখা হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়ে গেলে বিধানসভা ওই ঘরটি নিয়ে আলাদা চিন্তাভাবনা করতে পারে।