ফের ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা!
নিউজ ডেস্ক ::ফের একবার ইডি হেফাজতে পাঠানো হল পার্থ এবং অর্পিতাকে।
ইডির বিশেষ আদালত আগামী ৫ অগস্ট পর্যন্ত দু’জনকেই ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাহাড় ও গুপ্ত ধন-দৌলত উদ্ধারের পর গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। তাঁদের ১০ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু আদতে তাঁদের জেরায় কিছুই উঠে আসেনি, তাই ফের তাঁদের হেফাজতে চাইতে পারে ইডি।
ততাদের আদালতে পেশ করে ফের হেফাজতে চাইবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেননা পার্থ-অর্পিতা সেভাবে মুখ না খোলায় এখনও তাঁদের জেরা করতে চায় ইডি। সেইসঙ্গে ইডি আবেদন জানাবে, প্রতিদিন একটা না একটা ফ্ল্যাটের হদিশ মিলছে। মঙ্গলবারও কলকাতা অর্পিতার কয়েকটি ফ্ল্যাট ও পার্লারে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বুধবারও সকাল থেকে তাঁদের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এমনকী শান্তিনিকেতনে ‘অপা’তেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইতিমধ্যেই কয়েকটি ফ্ল্যাট ও পার্লারে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে। তাই সেইসব নতির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে। তাই ইডি তাঁদের হেফাজতে চাইবে ফের। আর পার্থ ও অর্পিতার আইনজীবীরা ইডির বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করবে বলেই জানা গিয়েছে
গত ২৩ জুলাই গভীর রাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘ জেরার পর গ্রেফতার করা হয়। আর অর্পিতাকে গ্রেফতার করা হয় পরদিন অর্থাৎ ২৪ জুলাই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রাথমিকভাবে দুদিনের হেফাজতে নিলেও তিনি এসএসকেএমে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় জেরা পর্ব চালাতে পারেনি ইডি। পরে দুজনকেই ইডির স্পেশ্যাল আদালতে পেশ করার পর তাঁদের ১০ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়। তার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে মঙ্গলবারই।
ইতিমধ্যে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা, প্রচুর পরিমাণ সোনা, বিদেশি মুদ্র, জমি বা সম্পত্তির দলিল মিলেছে। তাঁদের নামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। ইডির দাবি, বছর দশেকের বেশি সময় ধরে অর্পিতার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের যোগাযোগ রয়েছে বলে নথিতে প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু এখনও পার্থ ও অর্পিতা বিশেষ কিছু মুখ খোলেননি। শুধুমাত্র জানিয়েছেন, টাকা আমার নয়। কিন্তু কার টাকা তা তিনি বা তাঁরা কেউ বলেননি।
ইডি কর্তাদের অভিযোগ, বেশ কিছু নথি থাকা সত্ত্বেও জেরায় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানা ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন পার্থ ও অর্পিতা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, শুধু পার্থ বা অর্পিতা নন, আরও বড় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন।