এ পুজো নেতার নয়
নিউজ ডেস্ক ::ইডির জালে রাজ্যে শাসক দলের হেভিওয়েট নেতা ও তাঁর ঘনিষ্ঠ এক মডেল।
তাদের বাড়ি থেকে মিলেছে ৫০ লক্ষ টাকা। সঙ্গে রয়েছে সোনা থেকে শুরু করে নানা জিনিষ। দুজনেই একটি বড় পুজোর মুখ হিসেবে পরিচিত।
এইরকম একটা সময়ে দুর্গাপুজোও যখন প্রশ্নের মুখে তখন শাস্ত্রীবাগান ক্লাবের সাহসী ঘোষণা যে তাঁরা পুজোর এই রাজনীতিকরণের বিপক্ষে। নেতার পুজো নয়।পোস্টার ব্যনার সহ জমায়েত* অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের আর্থিক সাহায্য দিয়ে তাদের হাতেই পুজোর সূচনা হল।
পুজোর কোষাধক্ষ্য বলেন যে, “এই যে দুঃস্থদের সাহায্য করার বিষয় তা আমরা আগেও করেছি। করোনার সমস্যার সময়ে দুঃস্থদের শিশুদের হাতে চাল , ডাল ছাড়াও তাদের অনেক কিছু প্রয়োজনীয় জিনিষ দিয়ে সাহায্য করেছি। এখন করোনা পরিস্থিতি আর সেভাবে নেই। তবু আমরা ঠিক করেছিলাম বাজেট কিছুটা কমাবো। দুঃস্থদের সাহায্য করব। সেই ভাবনা থেকেই দুঃস্থ শিশুদের হাতে আমরা বেশ কিছু অর্থ তুলে দিয়েছি। এতে ওঁদের কিছুটা সাহায্য হবে বলে আমি মনে করি। তাই ওঁদের হাতে সাহায্যের অর্থ তুলে এবং ওঁদের হাত দিয়েই পুজোর যাত্রা শুরু করলাম”।
কলকাতা অরফ্যানেজের অন্যতম এক সদস্য বললেন, “এমন ভাবে কেউ ভাববেই না, বলা ভালো ভাবতে চাইবেই না। কে ভাববে দুঃস্থ ছেলে মেয়েদের জন্য। বেশিরভাগ ক্লাব যারা বড় বড় পুজো করে তাদের দেখেছন কোনওদিন এসব নিয়ে ভাবতে? যদি একটুও ভাবত তাহলে এঁদের কিছু সুরাহা হত। নেতামন্ত্রীদের সব পুজো, কে সোনার দুর্গা, কে হীরের মুকুট এসব বানায়। কে বড় অসুর, দুর্গা, এসব বানাচ্ছে। বিশাল বিশাল স্পন্সর। কিন্তু গরীবদের নিয়ে ভাবার বেলায় নেই। শাস্ত্রীবাগান সেটা করে দেখিয়েছে। এই উদ্যোগ সত্যিই অসাধারণ।”
শিল্পী সুবল পাল বললেন, “এমন পুজো খুব কম হয়। বড় বড় পুজো হয় অনেক কিন্তু বড় মনের পুজো হয় কটা? মিলবে না। সবাই নিজেরটুকু বোঝে। ওটা হয়ে গেলেই হল। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই যে ভাবনা সেটা এক কথায় অনন্য এবং অসাধারন । এই পুজোর শিল্পী। আমার নিজেরই একটা অন্যরকম বোধ হচ্ছে। সত্যিই তো এমন কেউ ভাবে না। অনেকে অনেক ভাবে করে পুজো। সবার কাছে সমান নয় পুজো। যে যার মতো কাজ করে, কিন্তু মানবিকতার পুজো হওয়ার আছে বলে আমি মনে করি।”