পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক অনেক গভীরে!
নিউজ ডেস্ক ::অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mikherjee) বলেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে পরিচিতি ৬ থেকে ৭ বছরের।
কিন্তু পরে দেখা যায় বোলপুরে দুজনের নামে জমি কেনা হয়েছে ২০১২ সালে। আর দুজনের মধ্যে সম্পর্ক যে অনেক গভীরে তার প্রমাণ এদিন ইডি (ED) তুলে ধরল আদালতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে এলআইসি রয়েছে ৩১ টি। সবকটির নমিনিই পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এসএসসির দুর্নীতি কাণ্ডে কে দোষী তা হয়তো পরে সামনে আসবে। কিন্তু ইডির তল্লাশি না চালাতে সাধারণ মানুষের সামনে আসত না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জীবনযাপনের কাহিনী। তিনি কোথায় যান, কোথায় সময় কাটান তাও নিয়েপ্রথম কদিন চর্চা হলেও, এখন তা মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ। তবুও প্রতিদিনই অর্পিতা-পার্থকে নিয়ে নতুন খবর সামনে আসছে।
শুধু এদিনই নয়। এর আগেও বিভিন্ন প্রমাণ পেশ করে ইডি দাবি করেছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এব্যাপারে ইডির তরফে বোলপুরের ‘অপা’র কথা তুলে ধরা হয়েছিল। যা ২০১২ সালের। দুজনের মধ্যেদীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক না থাকলে এজিনিস সম্ভব নয় বলেও দাবি করেছিল ইডি। এমনটাই খবর সূত্রের।
এদিন আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০১২ সালে দুজন যৌথ মালিকানায় এপিএ ইউটিলিটি সার্ভিস তৈরি করেছিলেন। এই এপিএকে অনেকে অপা ইউটিলিটি সার্ভিসও বলছেন।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা নগদ পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে বিদেশি মুদ্রা, সোনার গয়না। সব মিলিয়ে অর্পিতার যে সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে তার আনুমানিক মাজার মূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি বলেই ইডির দাবি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বুধবারে বোলপুরের অপায় তল্লাশি চালানো হয়। যদিও পার্থ ও অর্পিতা দুজনেরই দাবি এই টাকা তাদের নয়। কিন্তু টাকা কার। বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছে সব টাকাই তৃণমূলের। যদিও তৃণমূলে এর দায় নিতে নারাজ।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আদালতে তোলা হয়। ইডির তরফে সেখানে অভিযোগ করে বলা হয়, জেরায় সহযোগিতা করছেন না পার্ছ চট্টোপাধ্যায়। ইডির তরফে ৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করা হয়। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পরে আদালতের তরফে দুজনের ৫ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।