২৫ বছর কাটিয়ে ফেললেন অভিনেত্রী অপরাজিতা
নিউজ ডেস্ক::ছোটপর্দা হোক বা বড়পর্দা, তাঁর জনপ্রিয়তা বরাবরই তুঙ্গে। তিনি অপরাজিতা আঢ্য। একদিকে তাঁর ছবি ‘হামি’, ‘প্রাক্তন’, ‘রসগোল্লা’, ‘চিনি’, ‘বেলাশেষে’ ও ‘বেলাশুরু’তে যেভাবে তাঁকে পছন্দ করেছে দর্শক, সেরকমই ছোটপর্দায় কখনও তিনি পাড়ি কখনও আবার লক্ষ্মী কাকিমা হয়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নেন। গত সপ্তাহের টিআরপি রিপোর্টে তাঁর ধারাবাহিক ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ ছিল দ্বিতীয় স্থানে। সম্প্রতি ‘দিদি নম্বর ওয়ানে’ এসেও তিনি জানান দিয়েছিলেন তাঁর জনপ্রিয়তা। টিআরপি রেটিংয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তবে শুধু পর্দা নয়, পর্দার বাইরে মানুষ অপরাজিতাকেও বেশ পছন্দ করেন সাধারণ দর্শক। সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবারই তাঁর পরিবারের কথা তুলে ধরেন অভিনেত্রী। তাঁর বাড়ির লক্ষ্মী পুজো থেকে জীবনের ছোট বড় আনন্দ তিনি দর্শকের সঙ্গে শেয়ার করে নেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
সোমবার অপরাজিতার ২৫ তম বিবাহবার্ষিকী। ২৫ বছর আগে আজকের দিনেই সাউন্ড ডিজাইনার অতনু হাজরার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন অভিনেত্রী। রবিবার রাতে বিবাহবার্ষিকীর প্রাককালে অপরাজিতা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আজ রাত পোহালেই কেটে গেল ২৫ বছরের বিবাহিত জীবন। ওঠা পড়া আছে কিন্তু প্রতিঘাত নেই। দিনগুলো কী ভাবে যে গেল বুঝলামই না। এই বাড়িতেই বয়সে ছোট্ট একটা মেয়ে কিন্তু সম্পর্কে সবার বড় সে আজ সত্যি সত্যিই সবার বড়ই হয়ে গেল। যখন পরিবারটিতে এসেছিলাম তখন আমায় নিয়ে আমরা ছিলাম চার জন। আজ আমরা গোটা পরিবার মিলে ১০০ জনের কিছু বেশি। গুনতে নেই রোজই সংখ্যাটা বাড়ে তো তাও তো শ্বশুর মশাই আর দিদি শাশুড়ি চলে গেলেন। এত তাড়াতাড়ির কি ছিল বাপু বুঝিনা। অনেক শিখেছি তার থেকেও বেশি পেয়েছি পাচ্ছি পেয়ে পেয়ে বুঝছি এখন সংসারে হিরো একজনই হয় যে পুরোটাই কাঁধে নিয়ে হাঁটে সে হলো আমার শাশুড়ি মা।
বরাবরই শাশুড়িকে নিজের বন্ধু বলেন অপরাজিতা। তাঁদের দেখলেই বোঝা যায় যে, শাশুড়ি-বৌমার থেকেও তাঁদের সম্পর্ক মা-মেয়ের মতো, প্রিয়বন্ধুর মতো। এদিনও অপরাজিতার লেখায় উঠে এল সেরকমই কিছু কথা। তিনি লিখেছেন, ‘’নিজের ভালো লাগার থেকেও আমার ভালো লাগা নিয়ে উনি সদাই চিন্তিত। কী আমার ভালো লাগলো না, কী আমি খেলাম না, সারাক্ষন কোনওদিনই ক্লান্তি দেখলাম না। আমি যখন বলি মা আমার জন্য তোমার খুব জ্বালা উনি বলেন লক্ষী যেখানে ঝক্কি সেখানে, তাই তো মা লক্ষ্মী আমাদের কুল দেবী। ভাবছেন এত কিছু বললাম বরমশাইয়ের ব্যাপারে কিছু তো বললাম না ২৫ বছরের বিবাহবার্ষিকীতে। ওটা না হয় আমার মনেই থাক আর আপনারা ভেবেই নিন যার মা এরকম তার ছেলে কেমন হতে পারে, আমাদের আশীর্বাদ করুন আমরা যেন সবাই মিলে এমনি হেসে খেলে থাকতে পারি…’গুরু কৃপাহি কে বলম’।‘’