পার্থ-র বেহালা পশ্চিমে যাচ্ছেন মমতা!
নিউজ ডেস্ক ::মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও দল থেকে একইসঙ্গে দূরে চলে গিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তাঁর জেলযাত্রায় বেহালা পশ্চিমের মানুষ ‘বিধায়কহীন’ আপাতত। এই অবস্থায় কার হাতে বেহালা পশ্চিমের দায়িত্ব তুলে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেহালা পশ্চিমে গিয়েই সেই বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তারপর মন্ত্রিত্ব ও দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও তিনি বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক রয়ে গিয়েছেন এখনও। তিনি বেহালা পশ্চিমের মানুষের ভোট নির্বাচিত। এই অবস্থায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় না থাকায় বেহালা পশ্চিমের মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওইদিন তিনি বেহালা পশ্চিম নিয়ে বিশেষ কিছু ঘোষণা করতে পারেন। এর আগেও তাঁকে বেহালা পূর্ব নিয়ে বিশেষ অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে। বেহালা পশ্চিম নিয়েও তিনি তেমনই কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন।
২০১৯ সালে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দলত্যাগের পর বেহালা ম্যান্টনের অনুষ্ঠান থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, শোভনের অনুপস্থিতিতে বেহালা পূর্ব বিধানসভার এখন থেকে দেখভাল করবেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তারপর এখন তিনি বেহালা পূর্বের বিধায়ক। এবার বেহালা পশ্চিম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ২৪ জুলাই। এরপর ২৮ জুলাই তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্যোুেপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। তারপর মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক রয়ে গিয়েছেন বেহালা পশ্চিমের।
এখনও সবেমাত্র এক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। বিধানসভা ভোট ফের ২০২৬-এ। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে এই কেন্দ্রের দায়িত্ব দিতে পারেন। রবিবারই তেমন কোনও ঘোষণা করতে পারেন মমতা। একইসঙ্গে বিধানসভায় তৃণমূল কর্মীদের ফের চাঙ্গা করতেও তিনি বিশেষ কোনও উদ্যোগ নিয়ে পারেন।
২০০২ সাল থেকে এই কেন্দ্রে টানা পাঁচবার জিতেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রটি আবার দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের অধীন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সাল পর্যন্ত এই এলাকার সাংসদ ছিলেন। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নিজের এলাকা এটি। অর্থাৎ এই বেহালা পশ্চিমকে নিয়ে তিনি আলাদা করে ভাববেন, এটাই স্বাভাবিক।