রাষ্ট্রবিরোধী সরকার আছে বাংলায়!
নিউজ ডেস্ক ::মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলার অলিখিত মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন অনুব্রত মন্ডলকে।
তাই সেখানে জেলা সভাধিপতি, সুপার সবই ছোট মুখ্যমন্ত্রীর আওতায় তো থাকবে এটাই স্বাভাবিক। হাওড়ায় এসে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যে গরু পাচার-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মন্ডলকে।
এরপর থেকে আগামী কয়েকদিনের জন্যে সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসই হয়ে উঠেছে কেষ্টার ঠিকানা। আর এর মধ্যেই ফের একবার কার্যত বোমা ফাটালেন বিরোধী দলনেতা।
স্বাধীনতার ৭৫ উপলক্ষে দেশজুড়ে সাজো সাজো রব। হর ঘর তিরঙ্গা যাত্রা করছেন বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদরা। সেই মতো আজ শনিবার বিকেলে তিরঙ্গা যাত্রা কর্মসূচিতে হাওড়াতে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে শুভেন্দু বলেন, ‘আজকের র্যালির বার্তা দেশাত্মবোধ, রাষ্ট্রবাদ এবং জাতীয়তাবাদ। দেশমাতৃকার সেবা করার জন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি। আর বাংলায় এখানে রাষ্ট্রবিরোধী সরকার আছে। যারা বাংলাদেশ থেকে জামাতদের এখানে ঢোকায়। তাদের তুলে ফেলার আজকে শপথ নিচ্ছি বলেও হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার।
অন্যদিকে অনুব্রত ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে শুভেন্দু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলার অলিখিত মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন অনুব্রত মন্ডলকে। তাই সেখানে জেলা সভাধিপতি, সুপার সবই ছোট মুখ্যমন্ত্রীর আওতায় তো থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এই সমস্ত গুন্ডা মাফিয়া দুর্নীতিগ্রস্ত আজকে মিডিয়াতে এসেছে ডেইলি ৩০ লাখ টাকা রোজগার।
অন্যদিকে সুভাষ সরকারকে এদিন মেদিনীপুর জেলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে না দেওয়া নিয়েও মুখ খুলেছেন শুভেন্দু। বলেন, আমাকেও করতে দেওয়া হয়নি। এটা তো রাষ্ট্রবিরোধী সরকার। এরা আর্মির বিরুদ্ধে বলে। এরা বিএসএফের বিরুদ্ধে বলে। এরা সিআইএসএফের বিরুদ্ধে বলে বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর। শুধু তাই নয়, এরা চারটে ক্যাপিটাল চায়। রাষ্ট্রবিরোধী সরকার বলেও তোপ বিরোধী দলনেতার।
প্রসঙ্গত, ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সারা দেশব্যাপী যে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন হচ্ছে তারই অঙ্গ হিসাবে শনিবার বিকেলে উত্তর হাওড়ার কমল সংঘের উদ্যোগে তিরঙ্গা যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। হাওড়ার গুলমোহর ময়দান থেকে এর সূচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে হুডখোলা গাড়িতে কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। যদিও কোনও রাজনৈতিক ব্যানারে নয়, মিছিলে অংশগ্রহণকারী সকলের হাতেই ছিল জাতীয় পতাকা। কর্মসূচি শেষ হয় সালকিয়ায়।