মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন অনুব্রত তার আইনজীবির মাধ্যমে
নিউজ ডেস্ক ::মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুংকারে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন অনুব্রত মণ্ডল ।পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর দল সেভাবে তা নিয়ে সরব হয়নি।
বরং তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, জেলে গিয়ে দেখুন কেমন লাগে। তবে অনুব্রতর গ্রেফতারের পর একেবারে উল্টো ছবি। গতকালই পার্থর গড়ে গিয়ে মমতা বলেন, কেন গ্রেফতার করা হয়েছে কেষ্টকে? কী দোষ করেছে ও?
সোমবার অনুব্রত সঙ্গে দেখা করেন তাঁর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। তাঁকে অনুব্রত বলেন, জানতাম মমতা বন্দোপাধ্যায় আমার পাশে দাঁড়াবেন। আমি কোনও দোষ করিনি। এমনটাই দাবি অনির্বাণের।
অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সোমবার জেলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে অনির্বাণবাবু বলেন, উনি জানতে পেরেছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ওনাকে ভরসা জুগিয়েছেন। নিজের দলের নেত্রী ওনাকে সমর্থন করেছেন । তাতে ওঁর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে। উনি বলেছেন, জানতাম দিদি আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন। অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। সবাই আপনারা জানেন যে উনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এরকম এক অবস্থায় দলনেত্রীর আশ্বাস ওঁকে ভরসা দিয়েছে।এদিকে, অনুব্রতর একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। আদালতের নির্দেশ রয়েছে ৪৮ ঘণ্টা অন্তর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির একাধিক সমস্যা রয়েছে। সেসব নিয়েই তিনি সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। ফলে সতর্ক থাকতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকেও। তাঁর শারীরিক অবস্থা বুঝেই তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের একটি তালিকা করা হয়েছে। তাদের সম্পত্তির পরিমান কত সেই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা যাচ্ছে সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না। তার পরেও তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইনজীবীর বক্তব্য অনুযায়ী অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত মণ্ডল। কারণ তাঁর পাশে মমতার দাঁড়ানো। গতকাল মমতা এমন কী বলেছিলেন যে তা জানার পর কিছুটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন অনুব্রত? গতকাল বেহালার ম্যানটনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরশুদিন কেষ্টকে গ্রেফতার করলেন কেন? কী করেছিল কেষ্ট? যতবার ভোট হয়েছে ততবার ওকে ঘরবন্দি করে রেখেছেন। একটা ভোটেও ওকে বের হতে দেননি আপনারা। কেষ্টর বাড়িতে তাণ্ডব হয়েছে। একতরফা সব বলা হচ্ছে। আমি মনে করি কেষ্টরা ভয় পাবে না। একটা কেষ্টকে ধরলে লক্ষ কেষ্ট রাস্তায় তৈরি হবে। শুনেছেন এজেন্সি এটা করেছে, ওটা করেছে। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। দেখিয়ে তো দিলাম। ঝাড়খণ্ডে সরকার ভাঙার জন্য ১০ কোটি টাকা দিচ্ছিল। হাতেনাতে তো ধরেছি। যে তিনজন এমএলএ গ্রেফতার হয়েছে তারাই বলে দিয়েছে। মহারাষ্ট্রে সরকার ভেঙেছ, ঝাড়খণ্ড ভাঙার চেষ্টা করছিল। আমাদের কাছে খবর আসতেই আমরা টাকার বস্তাগুলো চেপে ধরেছি। বেহালায় স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে যেভাবে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে আক্রমণ করেছেন মমতা তাতে অক্সিজেন কম থাকলেও ভরসা পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।