রীতিমতো ক্ষমা চাইতে বললেন কুনাল
নিউজ ডেস্ক::রাজীব গান্ধী হত্যার নৈতিক দায়িত্ব সিপিএম-এর নেওয়া উচিত। রবিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এইভাবেই সিপিএমকে একহাত নিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সাম্প্রতিককালে রাজ্য রাজনীতিতে যে সেটিং তত্ত্ব উঠে আসছে, সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “বাংলার বুকে বিজেপির সঙ্গে যদি প্রথম কারও সেটিং থাকে, তাহলে তা সিপিএম। ১৯৮৮ সালে জুলাই মাসে শহিদ মিনার ময়দানে রাজীব গান্ধীকে সরাতে কুৎসা কারা করেছিল? বাম-বিজেপি। জ্যোতি বাবু আর অটল বিহারী বাজপেয়ী, ভিপি সিংকে সামনে রেখে একসঙ্গে করেছিলেন। রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে ফোর্স নিয়ে কুৎসা করা হয়েছিল। পরে দেখা গেল নির্দোষ। একটা লোকের জীবন চলে গেল।”
যদিও কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “রাজীব গান্ধী হত্যার পরে গোটা দেশে এবং ত্রিপুরায়, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের যে অংশ আগুন লাগিয়েছিল, অফিস ভাঙচুর করেছিল, খুন করেছিল, তাণ্ডব করেছিল, তারাই তো আজ তৃণমূলে। এখন রাজীব গান্ধীর যে মূর্তিটি পড়ে থাকে রাস্তার ধারে, তাতে একদিন সরকারি দফতর হোক, রাস্তায় হোক, কর্পোরেশন এলাকায় হোক, একটা ধুলোয় মোছে না।”
এর পাশাপাশি সিপিএম-বিজেপির যে সেটিং-এর কথা তৃণমূল মুখপাত্র বলেছেন, তারও পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন সেলিম। তাঁর কথায়, “প্রকাশ্য জনসভায় দলের একটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা, নির্বাচনে ভিপি সিংকে সমর্থন করা। আর চোরি চোরি চুপকে চুপকে তিনদিন গিয়ে মোদীর সঙ্গে কথা বলা, মোহন ভাগবতকে মিষ্টি পাঠানো, নাগপুরে দুধ পাঠানো, একসঙ্গে ভোট লড়া… জ্যোতি বসুর রাজনৈতিক মত সম্পর্কে সোজাসাপ্টা মন্তব্য সম্পর্কে কথা বলার কারও যোগ্যতা আছে তৃণমূলের?”
বামেদের উপর আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে কুণাল বাবু বলেন, “বামেদের সমর্থনে ভিপি সিং ক্ষমতায় আসার পর নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজীব গান্ধীর। তখন সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণে রাজীব গান্ধীকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এর নৈতিক দায়িত্ব সিপিএম নেবে না? বিজেপি নেবে না? সিপিএম-বিজেপি হাত মিলিয়ে কুৎসা করেছিল। পরে দেখা গিয়েছে, মিথ্যা।” তিনি আরও বলেন, “চরিত্র হনন করা ওদের কাজ। বিজেপির নবান্ন অভিযান পিছনোর ক্ষেত্রে তাই ওরা তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং-এর কথা বলছে। আজ রাজীব গান্ধী জন্মদিনে সিপিএম-বিজেপি হাত জোড় করে ক্ষমা চাক।”