৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে এবার ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে: মমতা

0 0
Read Time:4 Minute, 10 Second

নিউজ ডেস্ক::নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সোমবার শহরের পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জেলার পুজো কমিটির সদস্যরা। বৈঠকের শুরুতেই বিরোধী বিজেপিকে কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, ‘‘অনেকে বড় বড় কথা বলেন। কলকাতায় দু্র্গা পুজো হয় না। সরস্বতী পুজো হয় না। আমি বলছি, এমন পুজো কোথাও হয় না। এখানে এক বছর ধরে পরিকল্পনা হয়। কে স্বেচ্ছাসেবক হবেন, কে ফল কাটবেন, সব পরিকল্পনা করে রাখা হয়। এখন থিমের পুজো। কোন ক্লাব কাকে দিয়ে পুজো করাবে, সে সব নিয়েও এক বছর ধরে পরিকল্পনা চলে।’’এ রাজ্যে পুজোর ব্যাপকতা বোঝাতে কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘রাজ্যে ৪৩ হাজার পুজো কমিটির নাম নথিভুক্ত রয়েছে। তা ছাড়াও রয়েছে বাড়ির পুজো। পল্লির পুজো। আজকাল মেয়েদেরও ভালো পুজো হয়। পুলিশ, বড় ক্লাবগুলির কাছে আমি গ্রেটফুল। তারা মহিলাদের ও ছোট ক্লাবগুলিকে সাহায্য করে। এ বার পুজো কি দুরন্ত হবে, নাকি দুর্দান্ত! সেই পরিকল্পনাও তৈরি করতে হবে।’’সোমবার বিকেলে পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, এবার ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলেও মিলবে ছাড়। কলকাতা এবং স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে, পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ বিলে যেন ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।১ সেপ্টেম্বর থেকেই দুর্গোৎসবের সূচনা ঘোষণা করলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না। কম টাকাতেও ভালো পুজো হয়। আমার ক্ষুদ্র ক্ষমতায় বিদ্যুতের ভর্তুকি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বাড়ানো হল। আমার ভাড়ার শূন্য। মা দুর্গা ভর্তি করবেন আশা করি। তাই ক্লাবগুলির অনুদান ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “এবারের দুর্গাপুজো স্পেশ্যাল হবে তো? দুরন্ত হবে না দুর্দান্ত হবে? দুটোই হবে। আগে থেকে তৈরি থাকতে হবে। অনেক বিদেশিরা আসবে। ২১, ২২, ২৩ একটা বড় টিম আসবে। পুজো কিন্তু শুরু হয়ে যাবে ১ সেপ্টেম্বর থেকেই। এবারের মিছিল রাজনৈতিক কারণে নয়। আমাদের ঘরে মাকে বরণ করার জন্য। ক্লাবগুলিকে গর্বে আলোকিত করার জন্য। পাড়ায় পাড়ায় কে কত আলো, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি দেবে, তার প্রতিযোগিতা হবে। যে মিছিল করব, সেদিন ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাব। বেলা ২টোর সময় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি সামনে জমায়েত হব। শঙ্খধ্বনি, ঢোল বাজাতে বাজাতে, গান গাইতে গাইতে যেতে পারেন সকলেই। চার-পাঁচ কিলোমিটার মিছিল হবে। ১টার পর স্কুল-কলেজ, ছুটি অফিস হয়ে গেলে ভালো। তাহলে সকলেই সামিল হতে পারবেন। মিছিল পৌঁছবে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত।”

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!