সাংবাদিক স্বর্ণেন্দুকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ সাংবাদিক মহল
নিউজ ডেস্ক:: সেই ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়েছিল একটা অসম লড়াই। দীর্ঘ আট বছর ধরে কর্কট রোগের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করার পর অবশেষে থামলেন ক্রীড়া সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাস । লেখা ভাল থামতে বাধ্য হলেন ৩৫ বছরের লড়াকু ও ‘অলরাউন্ডার’ স্বর্ণেন্দু। সব ‘বিট’-এ কাজ দক্ষতা দেখিয়েছিলেন অতি সহজে। তবে সবাইকে কাঁদিয়ে ২৩ অগস্ট সকাল ছয়টা নাগাদ চিরঘুমে চলে যান কলকাতা ময়দানের সবার প্রিয় ছেলেটা। রেখে গেলেন বয়স্ক বাবা-মা, স্ত্রী ও একমাত্র হতভাগ্য কন্যাকে। বাচ্চা মেয়েটার তিন হবে! কাঁদিয়ে গেলেন তাঁর সহকর্মীদেরও।
উল্লেখ্য, অন্য নিত্যযাত্রীর মতো হুগলীর সিঙ্গুর থেকে এই তিলোত্তমার বুকে আসতেন স্বর্ণেন্দু। বাকিদের মতই। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। ২০১৪ সালে ওঁর জীবনে নেমে এল অন্ধকার। শরীরে হানা দিল কর্কট রোগ। লড়াইটা কঠিন ছিল। কিন্তু অফুরান জীবনীশক্তি আর কাজের প্রতি অদম্য ইচ্ছেয় এতদিন মারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন তরুণ সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু। মঙ্গলবার সকালে সেই যুদ্ধ শেষ হল। দুঃসংবাদ শুনে মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে স্বর্ণেন্দুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন তিনি। লিখলেন, দক্ষ ও বুদ্ধিদীপ্ত এক ব্যক্তিত্বকে হারাল সাংবাদিক জগত।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বর্ণেন্দু দাসের বিষয়টি তোলেন তাঁরই কোনও সতীর্থ। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। সেই সময় মুম্বইতে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। সে কথাও জানতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তিনি স্বর্ণেন্দুর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই এসএসকেএম-এর কথা উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিন, ‘ওঁকে বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর দরকার কী? এসএসকেএম-এ নিয়ে আসা হোক। এখানে ভাল চিকিৎসা হয়। ওঁর যাতায়াতের ভাড়া আমরা দেব। চিকিৎসার খরচও রাজ্য সরকারের।’ এরপর থেকে স্বর্ণেন্দুর চিকিৎসা চলছিল এখানেই। মঙ্গলবার ভোরে সকলকে কাঁদিয়ে চলে গিয়েছেন স্বর্ণেন্দু। তাঁর পরিবারই শুধু নয়, সহকর্মীরাও শোকাহত।