তাহলে কি জামিনের আশায় আছে অনুব্রত মণ্ডল
নিউজ ডেস্ক::আদালতে ঢুকেই মেজাজে অনুব্রত মণ্ডল। জজসাহেবকে শুরুতেই প্রশ্ন করতে চাইলেন। ইতিমধ্যে অনুব্রতর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করেছে সিবিআই। তবে শারীরিক কারণে আগেভাগেই জামিনের আবেদন করেন অনুব্রতর আইনজীবী।
অনুব্রতর আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় এদিন আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের জন্য অক্সিজেন ও ইনহেলার-এর প্রয়োজন হতে পারে। সেই দাবি মেনে বিচারক ইনহেলার নিয়ে আসার অনুমতি দেন। এদিন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী একের পর এক সওয়াল করেন।
সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই শুধুমাত্র ভোটের আগেই তদন্তে নামে। রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা দলের নেতাদের টার্গেট করে জেলে পাঠানোই লক্ষ্য কেন্দ্রের।
সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেন, সিবিআই কেন্দ্রের নির্দেশে টার্গেটেড ইনভেস্টিগেশন করছে। এক্ষেত্রে তাঁর মক্কেলকে টার্গেট করছে সিবিআই। বাংলার সরকারকে টার্গেট করে বদনাম দিতেই সিবিআইকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র। এমনও অভিযোগ করেন তিনি।
অনুব্রতর আইনজীবী আরও বলেন, বহরমপুর থেকে মুর্শিদাবাদের সীমান্তে গরু পাঠানো হয়েছে। এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। সারা দেশে অনেক জায়গায় গরু কেনাবেচা হয়। মেলা করে গরু কেনাবেচা হয়। শোনপুরের মেলা অনেক বড়। সংবাদমাধ্যমে বিচার চলছে। মিডিয়া সাত দিন আগে যা দেখিয়েছে, আজ সেটা আদালতে উঠেছে। এটা তো মিডিয়া ট্রায়াল।
তিনি আরও সওয়াল করেন, প্রতিটা কেস মদন, সৃঞ্জয়, সবাইকে সিবিআই বলে প্রভাবশালী ব্যক্তি। এলাকায় তিনজন চিনলেই কি কেউ প্রভাবশালী হয়ে যায়! আমার মক্কেল প্রভাবশালী বলে কোনও প্রমাণ নেই। বর্ডার দিয়ে গরু বাংলাদেশে গেলে সেখানে অনুব্রতর কোনো সম্পর্ক নেই। অনুব্রতর নাম এফআইআরে নেই। সতীশ কুমার ছাড়া আর কোনও বিএসএফকে গ্রেফতার করা হয়নি। সেহগল হোসেনের ক্ষেত্রে অনুব্রতর নাম উঠেছে।