পেগাসাস কাণ্ডে নয়া মোড়
নিউজ ডেস্ক::নতুন মোড় নিয়েছে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে।
ম্যালওয়্যারের খোঁজ মিলেছে কমিটি যে ২৯টি ফোন পরীক্ষা করেছিল তার মধ্যে পাঁচটিতে। তবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ এও জানিয়েছে যে তাঁরা এটা নিশ্চিত নন যে সেটি পেগাসাস স্পাইওয়্যাক কিনা।
পাশাপাশি পেগাসাস তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট তৈরি করে দিয়েছিল প্যানেল। কেন্দ্র সেই প্যানেলকে সাহায্য করেনি বলে বলছে কমিটি। এই চাঞ্চল্যকর করে অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টের। তাঁরাই বলছেন যে কমিটিকে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না কেন্দ্রের পক্ষে।
দেশের শীর্ষ আদালত এদিন জানিয়েছে যে ব্যক্তি গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে পেগাসাস তদন্ত কমিটির রিপোর্টের বহু তথ্যই সামনে আনা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা বলেন যে, ‘ পেগাসাস রিপোর্টের বেশকিছু অংশ গোপন, এবং ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে। তাই প্রকাশ করা যাবে না টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টের বেশ কিছু অংশ। বিশেষজ্ঞ প্যানেল এই কথাই জানিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে শুক্রবার।’
পেগাসাস ইস্যু প্রকাশ্যে এসেছিল গত বছর সংসদের বাদল অধিবেশনের ঠিক আগেই। সাংবাদিক, ব্যবসাসী, বিচারপতি এমনকি বিজ্রপি-র মন্ত্রীদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে। সৌজন্যে ইজরায়েলে তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার।
সুপ্রিম কোর্টে মামলা গড়ায়। দেশের শীর্ষ আদালত এই কথা বলে যে কেন্দ্রীয় সরকার বা কোনও রাজ্য সরকার এই স্পাইওয়্যার কিনে ব্যক্তিগতভাবে কারও উপর নজর রাখছে কিনা তা তদন্ত করে দেখতে হবে। তা নিয়ে বিশেষ কমিটি তৈরি করে দেয় কোর্ট। প্রযুক্তিগত দিকগুলি খতিয়ে দেখতে প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও তৈরি করা হয়। সেই কমিটিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর ভি রবীন্দ্রনের নেতৃত্বে তৈরি কমিটির বাকি দুই সদস্য ছিলেন। তাঁরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অলোক জোশী এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সন্দীপ ওবেরয়। কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে মাস খানেক আগে সুপ্রিম কোর্টে।
বৃহস্পতিবারের শুনানি ছিল পেগাসাস আড়ি কাণ্ডে সেই রিপোর্ট নিয়েই। সেই রিপোর্টেই একাধিক ফোনে ম্যালওয়্যারের খোঁজ মিলেছে বলে দাবি। ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয় মোট ২৯টি ফোনের। সন্দেহজনক ম্যালওয়্যারের খোঁজ মিলেছে বলে দাবি এরমধ্যে ৫টি ফোনে। তা নিশ্চিত করতে পারা যায়নি যে সেই ম্যালওয়্যার ইজরায়েলে তৈরি পেগাসাস কিনা।