সিপিএম নেতাকর্মীদের বিজেপিতে আসার ডাক বিজেপি সাংসদের
নিউজ ডেস্ক::গত কয়েকদিন আগেই শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে মহাজোটের ডাক দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘সময় এসেছে বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস ভেদাভেদ দূরে সরিয়ে, মানুষের একত্রিত হওয়ার।’ বিজেপি সাংসদের এহেন পোস্ট ঘিরে শুরু হয় চরম বিতর্ক।
একেবারে কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করে শাসকদল। আর সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার জোটের ডাক সৌমিত্র খাঁ’য়ের। যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।
একেবারে সিপিআইএম কর্মীদের বিজেপির পতাকাতলে আসার আহ্বান বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’য়ের। ওন্দার রতনপুরে দলীয় এক কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘তৃণমূল বনাম আমরা সবাই। …সিপিআইএমের ২ অথবা ৩ শতাংশ সমর্থক যারা আছেন তারা বিজেপিতে আসুন। আগে ‘চোর সরকারকে হটাই’। বিধানসভা ভোটে খুব খারাপ ফল করেছেন ওঁরা। তৃণমূলের সঙ্গে চললে ০ থেকে আরো মাইনাসে চলবে। তাই সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের ওই ‘মায়া ত্যাগ’ করে বিজেপিতে আসার ডাক বিজেপি সাংসদের।
বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক। আর এহেন মন্তব্যের পরেই মুখ খুলেছেন সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য অভয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, উনি একজন পাল্টি বাজ নেতা। সৌমিত্র খাঁয়ের সিপিআইএম সম্পর্কে ধারণা নেই বলেও দাবি বাম নেতার। তাঁর মতে, আমাদের লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। গরীব মারা নীতি নিয়ে আর সংবিধান ধ্বংসের খেলায় মেতেছে বিজেপি সরকার। দু’চারটে আসন এরাজ্যে পেতে পারে, সিপিআইএমের সমকক্ষ বিজেপি কখনই হতে পারবে না বলে মনে করেন অভয় মুখোপাধ্যায়। তাঁর মতে, তৃণমূলের মতো বিজেপিকেও মানুষ ‘রিজেক্ট’ করবে।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরা বলেন, কোথায় কমা আর কোথায় পূর্ণচ্ছেদ দিতে হয় উনি (সৌমিত্র খাঁ) যেমন জানেন না তেমনি কখন কি বলেন উনি জানেন না। এর পরেই সৌমিত্র খাঁকে ‘সৌজন্যহীন’ ব্যক্তি বলে আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, ওনার কথাতে সবসময় ‘উত্তেজনা’ ছড়ানোর চেষ্টা থাকে। এর পরেই সিপিআইএমকে সৌমিত্র খাঁয়ের আহ্বান প্রসঙ্গে বলেন, ‘আসুন বন্ধু, আবার মধুচন্দ্রিমা হোক’। এসব করে মিডিয়াতে ‘হাইলাইট’ হওয়ার চেষ্টায় সৌমিত্র খাঁ চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেন।
শুধু জোটের ডাক নয়, কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, ‘আপনি কুমারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?’ আর শাসক দলের সর্বময় কর্ত্রীর বিরুদ্ধে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে ফের বিতর্কের সৃষ্টি করলেন এই ‘বিতর্কিত’ বিজেপি সাংসদ। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।