দিদি দেখা করছেন চোর-ডাকাতদের সঙ্গে, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা
নিউজ ডেস্ক::রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত মন্তব্যে তাঁকে জুন মালিয়ার কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই সূত্রের খবর। সেই পরিস্থিতিতে আরও এক নেতা শৈবাল গিরি তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ালেন। আইপ্যাকের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ করে তিনি দল ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ ও দাঁতন দু নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শৈবাল গিরি বলেন, তাদের সঙ্গে নয়, চোর ডাকাতদের সঙ্গে দেখা করছেন দিদি। টাকা দিতে পারেননি বলে, তাঁকে আইএনটিইউসি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, পিংলার তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতির বিরুদ্ধেও।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন না। আইপ্যাকের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগও তিনি করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি এমন কিছু করেননি যাতে তার কাছে ইডি-সিবিআই আসতে পারে। কর্মাধ্যক্ষের কাজ করতে গিয়ে তিনি শুধুমাত্র সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেছেন।
দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিতেও শোনা গিয়েছে শৈবাল গিরিকে। তিনি বলেছেন ভুল জায়গায় রাজনীতি করা হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি করাটাই অন্যায় হয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করতে শএানা গিয়েছে তাঁকে। এরপরেই তিনি বলেন দল ছেড়ে দেব, ২ দিন অপেক্ষায় আছি। তাঁকে কার্যত শ্রীকান্ত মাহাতর মন্তব্যকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে।
খারাপ লোকেদেরই ভাল লোক বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সুব্রত বক্সিদের এব্যাপারে বোঝানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন বাঁচার অধিকারী, নাগরিক অধিকার কি থাকবে না? তাঁর নিশানায় ছিলেন, উমা সোরেন, সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, সায়নী , সান্তিকা, জুন মালিয়া, মিমি, নুসরতের মতোরা। এই মন্তব্যের জেরে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে শ্রীকান্ত মাহাতকে জুন মালিয়ার কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন বলে জানা গিয়েছে।