টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচকদের তীব্র সমালোচনা রবি শাস্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক::পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হেরে এশিয়া কাপের বাহির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পাকিস্তান জিতলেই সমস্ত যদি-কিন্তুর হিসেব মিটিয়ে ভারতীয় দল দেশে ফেরার টিকিট নিশ্চিত করে ফেলবে। জসপ্রীত বুমরাহের অনুপস্থিতিতে ভারতের এই ব্যর্থতার প্রধান কারণ অযোগ্য বোলিং লাইনআপ। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং ভুবনেশ্বর কুমার অতীতের ছাড়া মাত্র। অর্শদীপ সিং তরুণ, এখনও ম্যাচে নার্ভ ধরে রাখা রপ্ত করতে সময় লাগবে। হার্দিক পান্ডিয়া বরাবরই ওয়ান ম্যাচ ওয়ান্ডার। ধারাবাহিক পারফরর্ম করার ক্রিকেটার তিনি নন, বিশেষ করে বল হাতে। এই দলে প্রয়োজন রয়েছে মহম্মদ শামির মতো বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা পেসারের। টি-২০ ফরম্যাটে তারকা পেসারকে ব্রাত্য করে রাখায় রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়’কে এক হাত নিলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন প্রশিক্ষক রবি শাস্ত্রী।
বর্তমানে টি-২০ সেটআপে নজিরবিহীন ভাবে মহম্মদ শামিকে ব্রাত্য করে দেওয়া রাহুল দ্রাবিড় এবং রোহিত শর্মার নেতৃত্বে চলা ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে এক হাত নিয়েছেন রবি শাস্ত্রী। শেষ বার রবি শাস্ত্রীর কোচিং-এ এবং বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ভারতের জার্সিতে টি-২০ ম্যাচ খেলেছিলেন শামি। ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপের পর থেকে টি-২০ ফরম্যাটে তাঁকে আর খেলতে দেখা যায়নি। শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হোম সিরিজে ডাক পাননি শামি।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সময়ে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শাস্ত্রী ভারতীয় দলের টি-২০ সেট আপ থেকে শামিকে সম্পূর্ণ সরিয়ে দেওয়ার জন্য। বিশেষ করে আইপিএল-এর পর। তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচকরা যে ভাবে মহম্মদ শামিকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন তা দেখে আমি সম্পূর্ণ বিস্মিত। এ বারের এশিয়া কাপে একেবারেই প্রভাবিত করতে পারেনি ভারতীয় বোলাররা এবং শামির মতো অভিজ্ঞ বোলারের দলে জায়গা পাওয়া উচিৎ ছিল। আমরা দেখেছি শিশিরেরে উপস্থিতির কারণে কী ভাবে স্পিনাররা প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছিল, এশিয়া কাপ ২০২২-এর জন্য দুর্দান্ত বাছাই হতে পারত শামি। বিশেষ করে গুজরাত টাইটানসের হয়ে দুরন্ত আইপিএল মরসুম কাটানোর পর।’
আইপিএল ২০২২-এ মহম্মদ শামিকে নিলাম থেকে দলে তুলে নেয় গুজরাত টাইটানস। এই বছর টুর্নামেন্টের প্রথম উইকেটটি শিকার করেন শামি। হার্দিক পান্ডিয়া এবং আশিস নেহরা শুরুর দিকের ওভারগুলিতে দারুণ ভাবে তাঁকে ব্যবহার করেছিলেন। মাঝের ওভারেও দারুণ কার্যকরী শামি। গুজরাত টাইটানসের হয়ে ডেথ ওভারে খুব বেশি বোলিং করেননি শামি। ২৪.৪০ গড়ে ১৬ ম্যাচে ২০ উইকেট শিকার করেন মহম্মদ শামি। নিজের দলের সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহকারী ছিলেন শামি। আইপিএল ২০২২-এ সর্বাধিক উইকেট শিকারিদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন শামি।
সুপার ফোরে দু’টি ম্যাচ খেলেছে ভারত এবং দু’টি ম্যাচে চরম ব্যর্থ হয়েছে ভারতের বোলিং। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করেছেন ভুবনেশ্বর কুমার, ৩.৫ ওভারে অর্শদীপ সিং খরচ করেন ৪০ রান। ওয়ান ম্যাচ ওয়ান্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ২৪ বলে মাত্র ৩৫ রান খরচ করেন। তিন উইকেট পাওয়া যুজবেন্দ্র চাহাল ৩৪ রান খরচ করেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৪ ওভারে খরচ করেন ৩২ রান। পাকিস্তান ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়া খরচ করেন মাত্র ৪৪ রান। যুজবেন্দ্র চাহাল পাক ব্যাটসম্যানদের উপহার দেন ৪৩ রান। ভুবনেশ্বর কুমারের ৪ ওভারে ৪০ রান তোলে পাকিস্তান।