বাগুইআটি কাণ্ডে প্রথম হুমকি মেসেজ অতনুর বান্ধবীর কাছে, পরে বাবার কাছে!
নিউজ ডেস্ক::বাগুইআটিতে দুই ছাত্রের হত্যার ঘটনায় ছত্রে ছত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। নতুন করে পরিবারের তরফে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, ২৪ অগাস্ট প্রথম অতনু দের বান্ধবীর কাছে হুমকি মেসেজ আসে। পুলিশ কেন সেই সময় টাওয়ার লোকেশন দেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল না, সেই প্রশ্ন করছে পরিবার।
অতনু দের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে প্রথম ২৪ অগাস্ট সত্যেন্দ্র হুমকি মেসেজ করে অতনুর এক বান্ধবীকে। তবে তা করা হয়েছিল অতনুর ফোন থেকে। অতনুর এক আত্মীয়ের কাছেও এই মেসেজ করা হয়েছিল বলে সিআইডি সূত্রে খবর। আর তার বাবাকে মেসেজ করে ৩ সেপ্টেম্বর। এই মেসেজ ধরে পুলিশ শুরুতেই কেন ব্যবস্থা নিল না, কেনই বা টাওয়ার লোকেশন ধরে অপরাধীকে গ্রেফতার করা গেল না, সেই প্রশ্ন তুলেছে অতনুর পরিবার। অতনুর বাবা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁকে বিভিন্ন নম্বর থেকে মেসেজ করা হয়েছে।
মৃত অভিষেক নস্করের বাবা হরি নস্কর অভিযোগ করেছেন, পুলিশ প্রথম থেকেই মিথ্যা কথা বলে চলেছে। থানায় মেল পৌঁছে গেলেও কেন বাগুইআটি থানা বসিরহাটে পাওয়া দেহ নিয়ে জানালো না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত ২২ অগাস্ট নিখোঁজ হয় অতনু-অভিষেক। পরিবারের তরফে নিখোঁজের ডায়েরি করা হয় ২৪ অগাস্ট। কিন্তু নিখোঁজ হওয়ার দিনই তাঁদেরকে খুন করা হয়। এবং ২৩ অগাস্ট বাগুইআটি থানা-সহ সবকটি থানায় দেব উদ্ধারের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে কেন ৫ সেপ্টেম্বর মর্গে থাকা ছবি দেখিয়ে শনাক্তকরণের কথা বলা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন হরি নস্কর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই বন্ধু অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর খুনে প্রধান অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী বারে বারে সিম বদল করছে এবং সঙ্গে সঙ্গে তার লোকেশনও চেঞ্চ করছে। যে কারণে পুলিশও ধন্দে পড়ে গিয়েছে। তার শেষ টাওয়ার লোকেশন পাওয়া গিয়েছে হুগলিতে। আগে তার কোনও অপরাধের রেকর্ড পুলিশের কাছে না থাকলেও, সে একেবারে প্রফেশনাল অপরাধীদের মতো কাজ করে চলেছে।