বাগুইআটিতে দুই তরুণের হত্যার প্রতিবাদে ওদের বাড়িতে ‘বাংলা পক্ষ।’
নিউজ ডেস্ক::নৃশংসভাবে খুন হয়েছে অভিষেক ও অতনু নামে দুই তরুণ।এই খুনের প্ৰতিবাদে ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার যখন সমস্ত বাংলা উত্তাল তখন ‘বাংলা পক্ষ’এর পক্ষ থেকে শোকস্তব্ধ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অরবিন্দ বিশ্বাস,প্রীতি নন্দী,কাবেরী নাগ,কৌশিক মাইতি প্রমুখ বাংলা পক্ষের সদস্যরা।ডাঃ বিশ্বাস ওদের বাবা মায়ের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন।পরিবারের কাছে বলেন,আমরা সমবেদনা জানাতে আসি নি।কারণ এই ঘটনার কোনো সমবেদনা হয় না।আমরা রাজনীতি করতেও আসি নি।আমরা শুধু এর প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।
পরে বাইরে এসে সাংবাদিকদের ডাঃ অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন,দিনের পর দিন বাংলা ও বাঙালিদের উপর ভিন রাজ্যের জন্তুদের অত্যাচার বেড়েই চলেছে।উনি সাম্প্রতিককালে ঘটে সল্টলেক,নিউটাউন ও বারাকপুরের কথা উল্লেখ করেন।ডাঃ বিশ্বাস বলেন,বিহার,ইউপি,ঝাড়খণ্ডে গিয়ে কোনো বাঙালি ছেলে ওদের হত্যা করেছে এমন নিদর্শন নেই।কিন্তু বাঙালি সবার জন্য দরজা খুলে রেখেছে।ফলে অন্য রাজ্য বিশেষ করে ইউপি,বিহার, ঝাড়খন্ড থেকে প্রতিদিন মানুষ দেহী জন্তুরা বাংলায় এসে বাংলার খাদ্য খেয়ে,বাংলায় লালিত হয়ে, বাংলার ছেলে মেয়েদের খুন করেছে।উনি বলেন,এই দুজন তরুণকে খুন করেছে বিহার জগতপুর থেকে আসা সত্যেন্দ্র চৌধুরী।ওরা ক্রিমিনাল।সত্যেন্দ্রের দেশে বউ আছে।এখানে এসে আবার বিয়ে করেছে।থাকে শ্বশুর বাড়িতেই।এমন লাখ লাখ সত্যেন্দ্র বাংলার আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে।তিনি বলেন,এই পরিবারের সঙ্গে আগামী দিন তারা থাকবে।তিনি আরো বলেন,পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা সম্পূর্ণ প্রমাণিত।তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন,দ্রুত ওই জন্তুকে গ্রেফতার করে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক যাতে অন্যান্য সত্যেন্দ্ররা ভয় পায়।তিনি বাংলার এই অবারিত খোলা দ্বার নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন,এতে বাংলার ভূমি পুত্ররা কাজকর্ম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।এ ব্যাপারে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।তিনি বলেন,এরা বাংলার ছেলে মেয়েদের চাকরির বাজারে ভালোভাবে থাবা বসাচ্ছে।ডাঃ বিশ্বাস এদের ক্রিমিনাল ও জন্তু বলে উল্লেখ করে বলেন,যারা এদের বাড়ি ভাড়া দেবেন,তারা যেন ওদের সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর আগে নেন।
ডাঃ বিশ্বাসের কথার সুর ধরে বাংলা পক্ষের অন্যতম সদস্য কৌশিক মাইতি বলেন,ওরা ইউপি বিহার থেকে এসে দুজন বাঙালি মায়ের কোল খালি করে দিলো।বহিরাগত এই ক্রিমিনালদের বাড়বাড়ন্ত এই বাংলায়।তা বন্ধ করতে হবে।এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক দায়িত্ব।কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য তারা শুধু ভোটের রাজনীতি করছে।সমস্ত বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর প্রতিবাদ করতে হবে।