ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের কাছে বসন্ত সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ

0 0
Read Time:4 Minute, 8 Second

নিউজ ডেস্ক::ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের পরিবর্তে তাঁর ভাই তথা দুমকার বিধায়ক বসন্ত সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করেছে। একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, জনপ্রতিনিধি ১৯৫১ এর ৯(এ) ধারার অধীনে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণার বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইসকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর আগে অনুমান করা হয়েছিল, খনির ইজারা মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ রাজ্যপালের কাছে নির্বাচন কমিশন করেছে। তারপরেই ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে অস্থিরতা দেখতে পাওয়া যায়। সেই অস্থিরতা ও ঝাড়খণ্ডে ইউপিএ সরকারের পতনের জল্পনা শুরু হয়। তবে সেই জল্পনার খোলাসা ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইস করেননি।

বিজেপি ঝাড়খণ্ডের ইউপিএ সরকারের পতনের চেষ্টা করছে। ইউপিএ বিধায়কদের কেনার চেষ্টা করছে বলে অভিয়োগ উঠতে থাকে। এরপরেই ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন বিধায়কদের সুরক্ষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একটি বাসে বিধায়কদের নিয়ে ছত্তিশগড়ের রিসোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁরা বেশ কিছুদিন থাকেন। এরপরেই রাজ্যে ফিরে হেমন্ত সোরেন ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় আস্থা ভোটের ডাক দেন। সেই আস্থা ভোটে জয়ী হন। তারপরেই নির্বাচন কমিশন রাজ্যপালের কাছে বসন্ত সোরেনকে অযোগ্য বিধায়ক ঘোষণার জন্য রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করে বলে অভিযোগ।

একটি খনির মালিকানা নিয়ে বসন্ত সোরেনকে বিধায়ক হিসেবে অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ করা হয়েছে। বিজেপির অভিয়োগের ভিত্তিতেই বসন্ত সোরনের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে নির্বাচন কমিশন এই সুপারিশ করেছে।


বসন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে খনি লিজ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের অধীনের রাজ্যের খনি দফতর রয়েছে। সোরেনের বিরুদ্ধে অভিযোগে, তিনি নিজের জন্য ও ভাইয়ের জন্য খনি লিজে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ইডি রাজ্যের খনি দফতরের সচিব পূজা সিংগলকে গ্রেফতার করেছে। পূজা এই লাইসেন্সগুলো দিয়েছিলেন। বিজেপির তরফে এই অভিযোগ ওঠার পর নির্বাচন কমিশন তদন্ত শুরু করে। সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে শুনানি ১৮ অগাস্ট শেষ হয়। ১২ অগাস্ট শুনানির সময় সোরেনের আইনজীবারা জানিয়েছিলেন, খনি লিজের ঘটনা কখনই জনপ্রতিনিধি আইনের ১৯৫১ এর ৯ (এ) ধারার মধ্যে পড়ে না। পাল্টা বিজেপির আইনজীবীরা মতামত দেন। প্রায় দুই ঘণ্টা এই তর্ক বিতর্ক চলে। এরপরেই নির্বাচন কমিশন তাদের রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে পাঠায়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!