নবান্ন অভিযানে দলীয়কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা
নিউজ ডেস্ক::নবান্ন অভিযান ঘিরে বিজেপি কর্মীরা শহর জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। পুলিশের গাড়িতে আগুন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট একাধিক অভিযোগে ৮ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে শুক্রবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। মিথ্যে মামলায় বিজেপিকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযোগ করে আদালতে মামলা ঠুকেছে বঙ্গ বিজেপি।
মিথ্যে মামলা দিয়ে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে। এমনই গুরুতর অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি। নবান্ন অভিযানের পর আজ তিনদিন কেটে গেলেও তার আঁচ কিন্তু কমছে না। আজ ফের লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি। এদিকে নবান্ন অভিযানে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে বিজেপিকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আজ হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
আজই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানি।
গত তিন দিন ধরে ধরপাকড় চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন এমজিরোডে পুলিশের পিসিআর ভ্যানে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপির পতাকা হতে কর্মীরা তার আগে ভাঙচুর করেন গাড়িটি। মারধর করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকেও। এই ঘটনায় পুিলশকর্মীদের মারধর আর পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে আবার বিজেপি নেতা কর্মীদের উপরে পুিলশি িনর্যাতনের অভিযোগে সরব হয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।জেপি নাড্ডা সুকান্ত মজুমদারদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। আবার রবিশঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারের পুলিশকে তীব্র নিশানা করেছেন। রাজ্যে দলীয়কর্মীদের উপরে পুিলশি নির্যাতনের বিস্তারিত তথ্য পেতে একটি কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। সেখানে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে আবার আজ বিজেপির উত্তর -দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার তরফে লালবাজার অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে আজ। একই সঙ্গে জেলায় জেলায় থানা ঘেরাও কর্মসূচিও চলবে কাজেই নবান্ন অভিযােনর পর নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে পারে শহরে। বিজেপির লালবাজার অভিযােনর দিল লালবাজারেও ঢোকার চেষ্টা করেছিল বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অতর্কিতে বিজেপি কর্মীদের মিছিলে চমকে গিয়েছিল লালবাজারও। বাইরে থেকে অতিরিক্ত পুিলশ নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।