নামিবিয়া থেকে আনা ৮টি চিতাকে মুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী!
নিউজ ডেস্ক::নামিবিয়া থেকে আনা আটটি চিতাকে মুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতাগুলিকে ছাড়া হয়। তবে সবগুলিকেই একটি আলাদা এনক্লোজারে একমাসের জন্য রাখা হবে। স্যাটেলাইট রেডিও কলারের মাধ্যমে চালানো হবে নজরদারি। বিভিন্ন কারণে ১৯৫২ সালে দেশ থেকে চিতা বিলুপ্ত হয়ে গেলেও, আবার তা ফিরল ৭০ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী ৭২ তম জন্মদিনে।
এদিন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে সঙ্গে নিয়ে কুনো জাতীয় উদ্যানে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে তার আগে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছিলেন তাঁর জন্মদিনে মধ্যপ্রদেশের জন্য এর থেকে বড় কোনও উপগার হতে পারে না। তিনি বলেছেন, চিনা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এই শতাব্দীতে ভারতে চিতা অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এতে পর্যটনের বিকাশ ঘটবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের তরফে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান।
এব্যাপারে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বহু দশক পরে ভারতে চিতা ফিরে এসেছে। তিনি এব্যাপারে সব ভারতবাসীর তরফে নামিবিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এটা তাদের সাহায্য ছাড়া সম্ভাব গত না বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষকে এর দর্শনের জন্য বেশ কয়েকমাস ধৈর্য ধরতে হবে। এই মুহূর্তে চিতাগুলি অতিথি। এখানকার পরিবেশ মানিয়ে নিতে বেশ কয়েকমাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতে না থাকলেও সারা বিশ্বে এই মুহর্তে প্রায় ৭ হাজার চিতা রয়েছে। তার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নামিবিয়ায় রয়েছে এক তৃতীয়াংশ। সেই নামিবিয়া থেকে এদিন সকালে আটটি চিতাকে নিয়ে গোয়ালিয়রের মহারাজপুরা এয়ারবেসে পৌঁছয় ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমান। তারপর সেগুলিকে চিনুক হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া হয় কুনো জাতীয় উদ্যানে।
আটটি চিতার মধ্যে পাঁচটি মহিলা চিতার বয়স দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে। আর তিনটি পুরুষ চিতাগুলির বয়স সাড়ে চার থেকে সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে।
বিমান পরিবহণমন্ত্রী তথা মধ্যপ্রদেশের সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এদিন বেশ কিছু ছবি টুইট করে লিখেছেন, চিতারা তাদের নতুন বাড়িতে এসেছে। কুনো এই চিতাদের জন্য উপযুক্ত। তিনি বলেছেন, এই ঘটনা পর্যটকদের উৎসাহিত করবে এবং পর্যটনে উন্নতি করবে। তিনি আরও বলেছেন এই অঞ্চলটি বন্যপ্রাণী উৎসাহীদের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত এদেশে চিতাকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় ১৯৫২ সালে। তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারত চিতা আনার চেষ্টা হয়েছে। গত নভেম্বরেও নামিবিয়া থেকে চিতার আসার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে পিছিয়ে যায়।