মমতা নেত্রী আর তার প্রধান সেনাপতি অভিষেক
নিউজ ডেস্ক::মমতা আর অভিষেক – দুজনের মধ্যে বিভাজন নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা।ঠিক সেই সময় এক স্বাক্ষাৎকারে মদন মিত্র বুঝিয়ে দিলেন, দুই প্রজন্মের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে মতের মিল না হতে পারে। কিন্তু, মমতার দেখানো পথেই এগিয়ে চলেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “এর আগে আমরা দেখেছি শশীকলা এবং জয়ললিতা, আমরা দেখেছি অখিলেশ এবং মুলায়ম। তারপর আমরা লালুর পরিবার দেখেছি। আবার উদ্ধব ঠাকরে রাজ ঠাকরেও দেখেছি। সব ব্যাপারাই সবাই এক মত হবে এটা নাও হতে পারে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঈশ্বরের মতো মেনে, তাঁর প্রতিটা কথা কাজে পরিণত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন।তাঁর দেখানো পথেই অভিষেক এগিয়ে চলেছে।
দলে নতুন প্রজন্ম আসবে কিন্তু পুরোনো সমস্ত ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে।দলে তাঁর শেষ ইনিংস চলেছে বলেও এদিন বলতে শোনা যায় মদনকে। কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “তৃণমূলের বাড়িটা এত বড় যে আমি সেখানে একটা ইঁদুরের মতো। আমার অবস্থা ইঁদুরের। ২৯৪ টা বিধানসভায় আমি মাত্র একজন এমএলএ। সেই বিধায়কও হয়েছি পার্টির সমর্থন। আমি এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না যে পার্টির প্রতীকে জিতব, পার্টির টাকায় আমি ভোট লড়ব, পোস্টারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছাপব। তারপর আমি পিছনে দাঁড়িয়ে বলব আমি নিজেই জিতেছি, এটা ঠিক নয়। যদি কখনও নিজের দমে জিততাম তখন বলতাম। কিন্তু আমার মনে হয় না সেই সময় আসবে। কারণ লাস্ট ইনিংস খেলছি।” এরপর কার্যত স্বগোক্তির সুরে মদন বলেন, “এরপর কী আর ইনিংস খেলা উচিত?
আমার মনে হয় অভিষেকের মতো ঝকঝকে তাজা যুবকরা রয়েছে। অভিষেকই ভারতের একমাত্র নেতা যিনি অমিত শাহকে ভারতবর্ষের সবথেকে বড় পাপ্পু বলতে পারেন। তাও আবার ইডি-র জেরা সামলে। অমিত শাহকে পাপ্পু বলার সাহস আগে কেউ দেখায়নি, অভিষেক দেখিয়েছে। আমার মতো যাঁরা এই মুহূর্তে নতুন যৌবনের সঙ্গে দৌড়াতে পারব না। তাদের সামনে আছে অভিষেক ব্যানার্জী।