গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে সর্বোচ্চ খরচ তৃণমূলের
নিউজ ডেস্ক::গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কোনও আসন পায়নি। তবে বাংলার শাসকদলকে ভোট কাটুয়া বলে অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। কোনও আসন না জিততে পারলেও নির্বাচনী লড়াইয়েই দেখা গিয়েছিল নজরকাড়া প্রচার চালিয়েছিল তৃণমূল। নির্বাচনের পরে কমিশনে খরচের তালিকাও জমা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখান থেকেই দেখা যাচ্ছে এবারের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে সর্বোচ্চ খরচ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
গোয়ায় নির্বাচনী প্রচারের তৃণমূল বড় পোস্টার-ব্যানার টানিয়েছিলেন। এছাড়াও বাংলা থেকে লোক নিয়ে গিয়ে সেখানে প্রচারের কাজে ব্যবহারের অভিযোগও তুলেছিল বিরোধীরা। পালা করে সেখানে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন-মহুয়া মৈত্ররা। সেখানে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তৃণমূলের খরচের তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস খরচ করেছিল ৪৭.৫৪ কোটি টাকা।
এবারের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্তের নেতৃত্বে বিজেপি সেখানে ক্ষমতা ধরে রাখে। গেরুয়া শিবির সেখানে খরচ করেছিল ১৭.৭৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে সেখানে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ খরচ করেছিল ৩.৫ কোটি টাকা। বিজেপির বিরুদ্ধে তারাই শক্তি, এই দাবি করে আপ সেখানে মাত্র দুটি আসন দখল করতে পেরেছিল। ফলে খরচের নিরিখে বিজেপি ও আপের খরচ একসঙ্গে করলে তা তৃণমূলের খরচের অর্ধেকেরও কম।
নির্বাচন কমিশনে দেওয়া কংগ্রেসের খরচের বিবরণ থেকে দেখা যাচ্ছে, গোয়ায় তারা এবার প্রায় ১২ কোটি টাকা খরচ করছিল। এনসিপির তরফে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে গোয়ায় প্রচারের জন্য টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১১ প্রার্থীর প্রত্যেককেই তারা ২৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছিল। অন্যদিকে শিবসেনা গোয়ায় ১০ জন প্রার্থীর জন্য ৯২ লক্ষ টাকা খরচ করার কথা জানিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দলের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারা নামিয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাককেও। গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২৩ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। তবে তারা কোনও আসনে জয় পায়নি। তবে সহযোগী দল মহারাষ্ট্রবাদী গোমান্ত পার্টি ১৩ টি আসনে প্রার্থী দিয়ে দুটি আসনে জয় পায়। আপ ৩৯ টি আসনে প্রার্থী দিয়ে দুটি আসন দখল করে। বিজেপি ২০ টি আসন দখল করে। তারা দুই মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি এবং নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকার তৈরি করে। পরবর্তী সময়ে ১১ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে আটজন বিজেপিতে যোগ দেন।