বিধানসভা নির্বাচনে জোট ভেঙে একক লড়াইয়ের প্রস্তুতি
নিউজ ডেস্ক::বিজেপি এবার বিধানসভা নির্বাচনে একা লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ত্রিপুরায়। ২০২৩-এর শুরুতেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আইপিএফটির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে লড়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রদেশ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
শনিবার ত্রিপুরায় বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা একটি কৌশল বৈঠক করেন ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ, উত্তর-পূর্ব সমন্বয়কারী সম্বিত পাত্র, ত্রিপুরার ইনচার্জ মহেশ শর্মা এবং মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এই বৈঠকে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করা হয়।
এই বৈঠক থেকে স্পষ্ট বিজেপি চাইছে এবার ত্রিপুরা নির্বাচনে এককভাবে লড়াই করতে। সেইমতোই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকে। আইপিএফটির ত্রিপুরার উপজাতীয় অঞ্চলে প্রভাব ছিল। কিন্তু এখন আইপিএফটিকে খর্ব করে ত্রিপুরার আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে টিপ্রা মোথা। ফলে আইপিএফটিকে আর অযথা বয়ে বেড়াতে চাইছে না বিজেপি।
গত বছর আদিবাসী পরিষদীয় নির্বাচনে বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটি শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছিল প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেব বর্মার টিপ্রা মোথার কাছে। আদিবাসী পরিষদ হাতছাড়া হওয়ার পর আইফিএফটির সমর্থন আরও কমতে শুরু করেছে। নেতারা ক্রমেই ঝুঁকে পড়ছেন টিপ্রা মোথার দিকে। তারপর বিজেপির তরফে আইপিএফটিকে নিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্ত ত্রিপুরার রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
বিজেপির মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, দলরে সর্বশেষ অবস্থান থেকে সরকারের কর্মক্ষমতা এবং বিরোধীদের কার্যকলাপর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকে স্পষ্ট হয়েছে, ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে বিজেপির যোগ বজায় রয়েছে। তাই বিজেপি এককভাবেই বিরাট জয় হাসিল করতে পারে। ফলে কারও সঙ্গে জোটে যাওয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই।
বিজেপির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, শুধু সমতল ক্ষেত্রেই নয়, বিজেপি পাহাড়েও সমান শক্তিশালী। বিরোধীদের সঙ্গে সেখানেও বিজেপি সমানভাবে লড়তে সক্ষম। তাই বিজেপির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবারা তারা এককভাবে লড়াই করবেন আসন্ন ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে। সেটাই বিজেপির পক্ষে সঠিক হবে।
তবে বিজেপির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জোট করে না লড়লেও আইপিএফটির সঙ্গে নির্বাচনী বোঝাপড়া অব্যাহত থাকবে। কারণ বিজেপি কখনও মিত্রশক্তিকে দূরে ঠেলে দেয় না। ৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভায় বিজেপির ৩৫ জন বিধায়ক রয়েছে। আর আইপিএফটির রয়েছে সাতজন বিধায়ক। বিরোধীদল সিপিএমের রয়েছে ১৫ জন বিধায়ক আর কংগ্রেসের একজন। এখনও দু’টি আসন খালি পড়ে রয়েছে।