কৃষি সংবাদ – বসিরহাটের আপেল কুলচাষ
নিউজ ডেস্ক : উঃ ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে একেবারে অভিনয় পদ্ধতিতে নতুন প্রজাতির আপেল কুল চাষ হচ্ছে।কৃষি প্রযুক্তির সাহায্যে এক অভিনব পদ্ধতিতে এই চাষ শুরু হয়েছে গত কয়েক বছর আগে।
বর্তমানে দশ হাজার মানুষের জীবিকা অর্জনের মূল মাধ্যম এই কুল চাষ।
আপেল কুল একটি লাভজনক সম্ভাবনাময় ফল। এই কুলের রঙ আপেল সদৃশ্য হওয়ায় কুলটির নাম দেওয়া হয়েছে আপেল কুল। কষহীন মিষ্টি স্বাদের আর আগাম পাকে বলে অন্যান্য কুলের চেয়ে এর চাষ দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে।এই কুলের তিন ধরনে জাত আছে আপেল, বাউ ও টায়িং কুল। বর্তমানে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাউ কুল। একটি কুলের ওজন ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। আজকের দিনে সারা দেশের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গা এই কুল চাষে সব থেকে বেশি খ্যাতি অর্জন করেছে। দেগঙ্গার চাকলার মঞ্জিলআটি গ্রামে এই কুলের চাষ প্রথমে শুরু হয় ২০০৯ সালে। মঞ্জিলআটির চাষী বাবলু বিশ্বাস প্রথমে দেশী কুল ও হাইব্রিড কুল গাছের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে কুল চাষ শুরু করেন। বর্তমানে দেগঙ্গার দশটি গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ জীবিকা অর্জনে এই কুল চাষ করে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে। সারাদেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই কুল এবং কুলের গাছ সরবরাহ করা হয় এই মঞ্জিলআটি থেকে। কুল চাষীরা বলেন,গত সাত বছরে এই কুল চাষে অনেক অসহায় পরিবার স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে। কুলের চারা তৈরীতেও বেশি বেশি মুনাফা অর্জনের পথ তৈরী হয়েছে। কিভাবে এই কুলের চারা তৈরী করেন সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, প্রথমে দেশী কুলের বীজ নিয়ে চারা তৈরী করা হয়। এক মাসের মধ্যে চারাগুলি ১৬ থেকে ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে ওঠে। তখন কাটিং করে ভালো জাতের বিদেশী কুল গাছের ডালে সংমিশ্রণ করে কলম বাধা হয়। আর এই কলম বাধার কাজে নিযুক্ত থাকে কয়েক হাজার ছেলে মেয়ে। তারাও মজুরির বিনিমেয় কাজ করে থাকে। কলম বাধার ১৪ দিন পরে নতুন গাছ ফুটে ওঠে। আর সেই গাছ জমিতে বসিয়ে শুরু হয় চাষ। একটি গাছ দুই থেকে তিন ফুট বেড়ে ওঠে ছয় মাসের মধ্যে। ফলন শুরু হয়। একটি গাছ থেকে প্রায় এক কুইন্টাল কুল পাওয়া যায়। এই ভাবে এক বিঘা জমিতে কুল চাষ করলে প্রচুর লাভজনক ব্যবসা।