কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের আগে কলকাতা সফরে থারুর

0 0
Read Time:3 Minute, 52 Second

নিউজ ডেস্ক::কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন নিয়ে এখন টানটান উত্তেজনা। মল্লিকার্জুন খাড়গে বনাম শশী তারুর। অভিজ্ঞতার সঙ্গে লড়াই আধুনিকতার। শেষপর্যন্ত জিতবেন কে, তা জানা যাবে ১৯ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের পর। তার আগে জমে উঠেছে প্রচার যুদ্ধ। হাল ছাড়তে রাজি নন কোনও পক্ষই। শশী থারুর তাই এবার কলকাতাতেও আসছেন প্রচারে।

শশী থারুরের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে কলকাতার। সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি কলকেতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনা করতেন। তাঁর গোটা পরিবার একটা সময়ে কলকাতায় থাকত। এখনও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রয়ে গিয়েছে কলকাতার পুরনো বন্ধুদের। তিরুবনন্তপুরমে থাকলেও কলকাতাকে তিনি ভোলেননি, ভুলতে পারেন না। প্রায় প্রতি বছরই কলকাতায় এসে কোনও না কোনও সাহিত্য সভায় যোগ দেন তিনি।

তাই কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রার্থী হয়ে তিনি কলকাতায় আসবেন না, তা আবার হয়নি নাকি। তিনি আগামী ১২ অক্টোবর কলকাতায় আসছেন। এবার তিনি ভোটারদের কাছে দলকে নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা তুলে ধরবেন। দলের সভাপতি হলে তিনি কী করতে চান, দলের উত্থানের জন্য তাঁর কী ভাবনা, সেই কথা তিনি বলবেন কংগ্রেসের সদস্যদের সামনে।

শশী থারুরের বিরুদ্ধে এবার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে লড়ছেন হেভিওয়েট মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ঘোষণা না হলেও বকলমে তাঁকেই ধরা হচ্ছে অফিসিয়াল প্রার্থী। শশী থারুরের ভূমিকা প্রধানত চ্যালেঞ্জারের। এবা দুই দক্ষিণ ভারতীয়ের লড়াই। টানাটন উত্তেজনা রয়েছে এবার। গতবার দুই উত্তর ভারতের লড়াই জমজমাট হয়নি, এবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের লড়াই যে কাঠে-খড়ে হবে, তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন শশী থারুর।

এবার জয় পরাজয় নিয়ে উভয়ের কেউই তেমন চাপে নেই। একপ্রকার মুক্ত মনে তাঁরা লড়াই করছে। অবশ্যই এগিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গে। আর শশী থারুর পরিবর্তনের পক্ষে লড়াই করছেন। তিনি জিতলে সেটা হবে গান্ধী পরিবারের হার। মল্লিকার্জুনে কোনও চাপ নেই। তাঁর হার অঘটন বলে বিবেচিত হবে, তাপ বাড়বে গান্ধী পরিবারের।

যদি গান্ধী পরিবারের পক্ষে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার কোনও অফিসিয়াল প্রার্থী নেই। ওপেন চ্যালেঞ্জ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে। তাঁরা চেয়েছিলেন আরও অনেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। তবে শেষপর্যন্ত একের বিরুদ্ধে এক লড়াই হচ্ছে। গান্ধী পরিবার এই লড়াইয়ে নিরপেক্ষ থাকবে। এমনকী ভোটদানেও বিরত থাকবেন তাঁরা। ২২ বছর পর এবার নির্বাচন হচ্ছে অ-গান্ধীদের মধ্যে। রাহুল নিজেই সওয়াল করেছিলেন অ-গান্ধী সভাপতির পক্ষে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!