কুণাল ঘোষের উত্তরে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্ক::রাসবিহারী এভিনিউতে সিপিএমের বুকস্টল ভাঙা নিয়ে ইতিমধ্যে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে।তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন,ওরা ঠাকুর মনে না,তাতে পুজোর সময় স্টল দেওয়ার দরকার কি?
আজ পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন,উনি কি বলেছেন আমি জানি না।ওনার জন্মের আগের থেকেই বামপন্থীরা পুজোর সময় বুকস্টল দিয়ে আসছে।তাছাড়া ওই স্টলে রবীন্দ্রনাথ থেকে সুনীল গাঙ্গুলি,শক্তি চট্টোপাধ্যায় – প্রমুখ সবার বই থাকে।আর ঠাকুর মানা না মানা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার।কিন্তু উৎসব সবার।এখানে বইয়ের স্টল ভাঙার মূল কারণ ‘ওরা বাইকে ভয় পায়।’প্রসঙ্গত স্মরণীয় কমলেশ্বরকে গ্রেফতারের প্ৰতিবাদে শিল্পী মহলের একটা বড়ো অংশ প্রতিবাদ জানিয়েছে।শাসকদল ভয় পেয়েছে।যে দলের একটাও সিট বাংলায় নেই সেই দলকে কেন ভয়?
রাসবিহারীতে গত রবিবার একটি CPIM বুক স্টল বসেছিল।
যেখানে তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী এসে তাণ্ডব তালায়। স্টল তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। মূল টার্গেট ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য। হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাঁকে। স্টলে ভাঙচুর চালানো হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার অর্থাৎ অষ্টমীর রাতে আমরা ওই স্থানেই একটি জমায়েতের ডাক দিয়েছিলাম। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সোমবারও সেখানে ওই দুষ্কৃতীরা আবার তাণ্ডব চালাতে পৌঁছে গিয়েছিল। আমরাও প্রতিরোধ করি। তখনই আমাদের গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। অজুহাত দেওয়া হয়, ওই এলাকায় অতিরিক্ত ভিড় করা যাবে না।
অথচ আমরা সংখ্যালঘুই ছিলাম। বরং উলটো দিকে সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। এরপর আমাদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হল লালবাজারে।” তিনি আরও বলেন, “ছেলেবেলা থেকেই দেখছি মার্কসীয় সাহিত্যের বইয়ের স্টল। বরাবরই স্টলে যেতাম। সেদিন গিয়েছিলাম দুষ্কৃতী তাণ্ডবের প্রতিবাদ করতে। কোন অজ্ঞাত কারণে আমাদের গ্রেফতার করা হল বুঝলাম না।”