দশমীর সিঁদুর খেলার কয়েকটি টুকরো দৃশ্যের কোলাজ
নিউজ ডেস্ক::পুজো শেষ হলো গতকাল দশমী তিথির বিসর্জন দিয়ে। সমস্ত ভারতে এমন কি বিদেশেও খুব আড়ম্বরের সঙ্গে দশমীর সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছেন হিন্দু বাঙালি মহিলারা।এমনি কয়েকটি টুকরো দৃশ্যের কোলাজ।
বিজয়া দশমীতে বর্ধমানের বাড়িতে দেবী দুর্গাকে বরণ করলেন চলচিত্র অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। দশমীর দুপুরে কলকাতা থেকে স্বামী রাজ চক্রবর্তী ও ছেলে ইউভানকে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমানে বাজেপ্রতাপপুরে বাবার বাড়িতে আসেন অভিনেত্রী। বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে নিয়ে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে সেলফি তুলতে।সবাই একসাথে মেতে উঠে সিঁদুর খেলায়।
দর্পণে বিসর্জনের পর মণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মাতলেন মহিলারা। এদিন মাকে সিঁদুর পরিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে তারপর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা। বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি নিয়োগী বাড়িতে দর্পণ বিসর্জন হয়। তারপর পান্তাভাত খাইয়ে মাকে বিদায় জানানো হয়।
বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ি ছেড়ে উমা চললেন কৈলাশের পথে। ইলিশ মুড়ো দিয়ে কচুর শাক আর পান্তা ভাত খেয়ে। দশমীর পুজো দিয়েই বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে। পারিবারিক নিয়ম মেনে পান্তাভাত, ইলিশ মাছ, পুঁটি মাছ-সহ পাঁচ রকমের মাছ ও শাপলা দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়েছে।তারপরে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে এলাকার সব মহিলারা।
নিয়ম মেনে সমস্ত অনুষ্ঠান শেষ করে টাকির রাজ বাড়ির প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় ইছামতীতে।তার আগে সিঁদুর খেলায় অংশ নেয় এলাকার সমস্ত মহিলারা।
শোভাবাজার রাজবাড়িতে সিঁদুর খেলার চল নেই। এখানে মায়ের পায়ে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর মহিলারা সিঁথিতে একে অপরকে সিঁদুর পরান। এরপর সেই সিঁদুর তারা সারা বছর ব্যবহার করেন পরিবারের কল্যাণ কামনায়।