মালবাজারে মাল নদীর বিপর্যয় চোখের সামনে না দেখতে পারে নিজের জীবনকে বাজি রেখে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার কার্যে – মহম্মদ মানিক।

0 0
Read Time:2 Minute, 51 Second

নিউজ ডেস্ক::সূত্রের খবর,দশমীতে মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় হড়পা বাণে যে বিপর্যয় ঘটে তাতে ৮ জন মারা গিয়েছেন। বরাত জোরে রক্ষা পেয়েছেন শতাধিক। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে রক্ষা করেন মানিক। তেসিমলা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার এই যুবকও মাল নদীর ধারে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে গিয়েছিলেন। হঠাৎই হড়পা বানে চোখের সামনে মানুষগুলোকে ভেসে যেতে দেখে আর আশপাশ কিছু তাকিয়ে দেখেননি তিনি।তিনি জীবনকে বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে জলে।উদ্ধার করে পারে তোলে অন্তত ১০ জনকে।


মহম্মদ মানিক জানান, প্রতিমা বিসর্জন দেখার জন্য বন্ধুদের সঙ্গে মালবাজারে গিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকাই হড়পা বান আসে। অনেকে ভেসে যাচ্ছেন দেখে নিজের মোবাইল ফোনটা এক বন্ধুর হাতে দিয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। প্রায় ১০ জনকে উদ্ধার করেন তিনি। উদ্ধার করতে গিয়ে তাঁর পায়ের আঙুলও কেটে যায়। এরপরই দমকল কর্মীরা তাকে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়েও দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন মানিক ভাইরাল।


ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন চা বাগান এলাকা থেকে পুজো উদ্যোক্তারা তাদের প্রতিমা নিয়ে বিসর্জন দিতে আসেন এই মাল নদীতে। আর সেই বিসর্জন দেখতে ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৬-৮ হাজার মানুষ বুধবার এসেছিলেন বিসর্জন ঘাটে। হঠাৎই হড়পা বান আসে সে নদীতে। এরপরই জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষগুলোকে। এখনও অবধি বহু মানুষের খোঁজ নেই। অনেকে আবার গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। মৃত্যুকে চোখের এতটা সামনে থেকে চাক্ষুষ করে কেউ কেউ আবার ভীত, কুঁকড়ে গিয়েছেন ভয়ে।


যখন সবাই বাণের ছবি মোবাইলে তুলতে ব্যস্ত তখন নিজের মোবাইল বন্ধুর হাতে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে জলে।এখন সে সকলের নেয়নি মনি।এমন মানুষেরা আছে বলেই,এখনো সমাজ বেঁচে আছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!