শুভেন্দু অধিকারীকে জেরা করতে চেয়ে নোটিশ তমলুক থানার
নিউজ ডেস্ক::ফের চাপ বাড়ল শুভেন্দু অধিকারীর। ২০২১ সালের একটি মামলাতে বিরোধী দলনেতাকে নোটিশ পাঠাল তমলুক থানা। উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। আর এই বিষয়ে জেরা করতে চেয়ে বিরোধী দলনেতাকে নোটিশ দিল তমলুক থানার পুলিশ। তবে কবে এবং কোথায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সে বিষয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে জানাতে বলা হয়েছে।
আর তা এই নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই জানাতে হবে বলে স্পষ্ট বার্তা পুলিশের।
আর এই নোটিশ ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। জানা যাচ্ছে, ২০২১ সালের ১৯ শে জুলাই বিজেপির একটি সভাতে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। আর ওই সভা থেকে বিতর্কিত কিছু মন্তব্য করেন তিনি। কার্যত তাঁর মন্তব্য উসকানিমূলক ছিল বলে অভিযোগ সামনে আসে। আর এরপরেই তমলুক থানার পুলিশ শুভেন্দুর নামে মামলা দায়ের করে। যদিও এহেন অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা।
তবে এই মামলা প্রসঙ্গে তমলুক থানা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এর আগে নোটিশ করা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে তাঁর আইনজীবী গত ১ লা জুলাইয়ের মধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্ত্য কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি পুলিশের। আর এরপরেই নতুন করে নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। আর এই নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিরোধী দলনেতাকে জানাতে হবে কোথায় তদন্তের স্বার্থে মুখোমুখি হবেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বলেই খবর।
বলে রাখা প্রয়োজন, সারদা ফাইল লোপাট, শশ্মানে জমি কেলেঙ্কারি সহ একাধিক ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুকে জেরা করে কাঁথি থানার পুলিশ। প্রায় কয়েক ঘন্টা ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। প্রতিহিংসা করতেই বিরোধী দলনেতার ভাইকে এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও এহেন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। আর এর মধ্যেই এবার নোটিশ গেল খোদ বিরোধী দলনেতার কাছে। ইতিমধ্যে নোটিশ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। তবে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধী দলনেতা। এমনটাই খবর।
শুভেন্দুকে নোটিশ ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে জোর রজনৈতিক চর্চা। স্থানীয় বিজেপি নেতার দাবি, বিভিন্ন মামলাতে বিরোধী দলনেতাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তেমনই নতুন করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সবাই সব কিছু দেখতে পাচ্ছে। আগামিদিনে বাংলার মানুষ জবাব দেবে বলেই দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের।