লক্ষ্মণ শেঠের গলায় উল্টো সুর!
নিউজ ডেস্ক::বাম আমলে নন্দীগ্রাম, তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। বর্তমানের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরে পরাজিত যেমন করেছিলেন, আবার তাঁর কছে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে সিপিআইএম থেকে বহিষ্কারের পরে কখনও এদল, কখনও সেদল। সেরকম কোনও দলে থিতু হতে পারেননি তিনি। তবে এবার তৃণমূল নিয়ে বিরূপ তিনি।
এদিন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে লক্ষ্মণ শেঠ বলেছেন, তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে করে সুযোগ পেলেও তৃণমূলে যাবন না। তিনি বলেছেন, কংগ্রেসে আছেন, কংগ্রেসেই থাকবেন। সুযোগ এলেও তৃণমূলে যাবেন না। লক্ষ্মণ শেঠ বলেছেন, তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল দলটা যেভাবে দুর্নীতিতে যুক্ত হয়ে পড়েছে, তাতে করে তৃণমুলে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেলেও ওই দলে যাবেন না।
হলদিয়ায় এদিন লক্ষ্মণ শেঠ বলেছেন, গোটা শিক্ষা দপ্তরটাই জেলে ঢুকে গিয়েছে। উন্নয়ন নেই, নিচুতলায় কে যে এই দলের মাথা তা বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। গণ্ডগোল-বিশৃঙ্খলা পুরো দলটাকেই গ্রাস করে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ। তৃণমূলের ভবিষ্যত ভাল নয় বলেও মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন এই সিপিএম নেতা।
উল্লেখ্য যে, এই লক্ষ্মণ শেঠ কিছু দিন আগে পর্যন্ত বলতেন, তৃণমূলে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত হতে চান। কিন্তু এবার হলদিয়ার এক সময়ের দাপুটে সেই রাজনৈতিক নেতার গলায় দএদিন একেবারে অন্য সুর শোনা গেলো।
এদিন প্রাক্তন সাংসদ, প্রাক্তন বিধায়ক লক্ষ্মণ শেঠ বলেছেন, তৃণমুলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন কাজ করবেন বলে। সেজন্য অনেক তৃণমূল নেতার সঙ্গে যোগাযোগও করেছিলেন তিনি। লক্ষ্ণণ শেঠ বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছতে না পারলেও তৃণমূলের অনেক রাজ্যস্তরের নেতার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে করে সুযোগ এলেও তৃণমূলে যোগ দেবেন না তিনি।
তৃণমূলে তাঁর ‘না’ প্রসঙ্গে লক্ষ্মণ শেঠের বক্তব্য, যা দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে, যেভাবে শিক্ষা দপ্তরের একে একে জেলে ঢুকেছে, তাতে করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আর ইচ্ছা হচ্ছে না। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেসে আছেন এবং কংগ্রেসেই থাকবেন। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে এরকম দুর্নীতি যোগ হতে দেবেন না।
প্রসঙ্গত ২০১৯-এ লক্ষ্মণ শেঠ জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে লোকসভায় প্রার্থী হয়েছিলেন। কংগ্রেসের কোনও অ্যাক্টিভিটি না থাকায় তাঁরও কোনও অ্যাক্টিভিটি নেই বলেই জানিয়েছেন লক্ষ্মণ শেঠ।