নামে বেনামে মানিকের টাকার তহবিল বেড়েই চলেছে
Read Time:3 Minute, 19 Second
নিউজ ডেস্ক:
প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের নিজের,পরিবারের এমনকী কিছু নিকট আত্মীয়ের টাকার পাহাড় বেড়েই চলেছে।
সোমবার মানিকের মামলাতে হলফনামা জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গ্রেফতারের পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিধায়ক। রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও কেন গ্রেফতার সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা হয়।
বলে রাখা প্রয়োজন, ইডির তরফে দেওয়া হলফনামাতে বেশ কিছু দাবি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম বড় কিংপিন মানিকই। শুধু তাই নয়, বিপুল পরিমাণ টাকা জমা পড়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে। শুধু মানিকই না , তাঁর পরিবারও কীভাবে এই দুর্নীতিতে যুক্ত তা স্পষ্ট ভাবে ইডি তাঁদের হলফনামাতে তুলে ধরেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানাচ্ছে, দীর্ঘ ১০ বছর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে ছিলেন। সেই সময় ৫৮ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ হয়েছে।২২ জুলাই মানিক ভট্টাচার্জের বাড়িতে ইডির তদন্তকারীরা তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামাতে। শুধু তাই নয়, ওই সমস্ত নথি এবং বাস্তব অবস্থা খতিয়ে দেখে মানিকের যোগের বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে। টাকা তোলার ক্ষেত্রে একটা চক্র কাজ করছে বলেও জানানো হয়েছে।
এমনকি মানিকের ছেলেও কীভাবে জড়িত সেই বিষয়টিও হলফনামাতে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে মানিকের পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এই টাকার উৎস কি ? সে বিষয়ে মানিক ভট্টাচার্য কোনও উত্তর দিচ্ছে না বলেও দাবি করা হয়েছে। শুধু পরিবার নয়, বেশ কিছু পরিবারের বাইরেও বেশ কিছু অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এমনকি বাইরের ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিবারের অনেক সদস্যদের যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে ইডির তরফে। আর সেখানে অনেক টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও ইতিমধ্যে তিথ্য -প্রমাণ রয়েছে বলে হলফনামাতে দাবি করা হয়েছে ইডির তরফে।