নদীয়ার পাটের গাদায় আগুন লেগে ভস্মীভূত ৫/৬ টি বাড়ি
নিউজ ডেস্ক::পুজোর মুখে পাঠ ওঠে।সেই পাঠ থেকে তন্তু বের করে প্রথমে জমা করা হয়।বাড়িতে।তারপর তা বাজারে বিক্রি হয়।বহুকাল ধরেই এই প্রথা চলে আসছে।কিন্তু কখনো কখনো দুর্ঘটনাও ঘটে।তেমনি এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল নদীয়ার সোনাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া।
পাটকাঠির গাদায় আগুন লেগে পরপর পাঁচ থেকে ছটি বাড়িতে সেই আগুন ছড়িয়ে ভষ্মিভূত বাড়ির একাধিক আসবাবপত্র।
জানা যায়, নদিয়ার ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত সোনডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া এলাকায় পরপর পাঁচ থেকে ছটি বাড়িতে আগুন লেগে ভষ্মিভূত হয়ে যায় বাড়ির একাধিক আসবাবপত্র। আনুমানিক বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রথম আগুন লাগে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এরপর সেই আগুন ছড়িয়ে যায় পরপর লাগোয়া চার-পাঁচটি বাড়িতে। এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় প্রত্যেকটি বাড়ির উপরেই মজুদ করা ছিল পাটকাঠি এবং পাটের আঁশ। কোন কারণে শুকনো পাটকাঠিতে আগুন লেগে দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সেই পাটকাঠির মধ্যে দিয়ে বাকি বাড়ি গুলিতে। আগুনে ভস্মিভূত হয়ে যায় বাড়ির উপরে থাকা একাধিক আসবাবপত্র। আগুনের তাপে রীতিমত গলে গিয়েছে একটি জলের ট্যাঙ্ক! আগুনের ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন । দুটি ইঞ্জিনের তৎপরতায় বেশ কয়েক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। আগুনে কোন প্রাণহানি না হলেও বাড়ির একাধিক আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে কি থেকে আগুনের সূত্রপাত তা এখনও পরিষ্কার নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট অথবা পোড়া বিড়ি কিংবা সিগারেটের টুকরোতেও এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
তবে কি কারণে এই অগ্নিকাণ্ড তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে দমকল বাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন।