নদীয়ার কালীগঞ্জের বুড়িমার কালীপুজো – ৩৫০ বছরের কিংবদন্তী
নিউজ ডেস্ক::নদীয়া জেলা কালীপুজোর জন্য খুবই বিখ্যাত।এখানে অজস্র কালীপুজো হয় – যা গুনমানের দিক থেকে খুবই সুন্দর।এমনি একটি কালীপুজো বুড়িমার কালীপূজা।
অতি প্রাচীন বুড়োমার কালীপুজোর রয়েছে এক ইতিহাস।
বর্তমান পুরোহিতের থেকে জানা যায় প্রায় ৩৫০ বছরের বেশি প্রাচীন এই কালীপুজোর রয়েছে এক পুরাণ কাহিনী।
জানা যায় বাড়ির নতুন বউ নিমন্ত্রিতদের খাবার পরিবেশন করার সময় হঠাৎই ঘোমটা খুলে যায়। নতুন বউয়ের এক হাতে ভাতের পাত্র, অন্য হাতে হাতা। কিন্তু আচমকাই আরও দুটো হাত দিয়ে ঘোমটা টেনে নিল সে। এই ঘটনায় সেদিন হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন সকলে। এরপরেই লজ্জায় নতুন বউ ছুটে গেলেন বাড়ির বাইরে। এরপর থেকেই আর কেউ খুঁজে পাইনি নতুন বউকে। প্রায় ৩৫০ বছর আগের এই ঘটনা কালীগঞ্জের হরিনাথপুরের আজও লোকমুখে পরিচিত। এই ঘটনার পর থেকেই হরিনাথপুরের ভট্টাচার্য বাড়িতে শুরু হয় কালীপুজো।
সেই পুজো চলে আসছে আজও। পরিবারের এক সদস্য জানান এই পুজো প্রায় ৩৫০ বছর আগে শুরু হয় দেবীকে এখনও বাড়ির বউ রূপে পূজা করা হয়। তবে পুজোর প্রথা কিছুটা হলেও বদল করা হয়েছে বর্তমানে। এই পুজোয় আগে প্রচুর ছাগল বলি হত বেশ কিছু বছর আগে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বলি প্রথা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শুধু কালীগঞ্জের বাসিন্দারাই নন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বুড়ো মায়ের পুজো দেখতে আসেন অসংখ্য ভক্তরা। শুধু পুজোয় নয় পূজোর পরের দিন ভাসান যাত্রা দেখতেও ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। সেই কারণেই পুজোর এই কয়েকটা দিন উৎসবে মুখরিত হয়ে থাকে কালীগঞ্জের মানুষ।
কিংবদন্তী সবসময় একটা সত্য কাহিনীর উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।পরে হয়তো সেই কাহিনীতে অনেক প্ৰক্ষিপ্ত ঘটনা ঢোকে।বুড়িমার কালীপুজোর ইতিহাস যাই হোক,সেই পুজো এখনো নিষ্ঠা সহকারে হয়ে চলেছে।