শান্তিপুরে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
নিউজ ডেস্ক::কালীপুজোর শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠী বলে অভিযোগ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় তৃণমূলের রাজ্যের নেতৃত্ব অভিষে বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী এবং কাউন্সিলরের ছবি সম্বলিত কালীপুজোর শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ময়লা আবর্জনার স্তুপে ফেলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য নদীয়ার শান্তিপুর শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড।
স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অভিযোগের তীর দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। যদিও এ বিষয়ে কাউন্সিল প্রভাত বিশ্বাস বলেন, তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী সনাতন ঘোষের উদ্যোগে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের প্রত্যেক কালী পুজো মণ্ডপে আশেপাশে একটি করে শুভেচ্ছা ব্যানার লাগানো হয়েছিল। যার মধ্যে তিন নম্বর রেলগেট সংলগ্ন মিতালী সংঘের পাশের ব্যানারটি ছিঁড়ে তার কাঠামো ভেঙে পাশের একটি আবর্জনা স্তূপে ফেলে দেওয়া হয় কয়েকদিন আগে। যা লক্ষ্য করা গেছে গতকাল রাতে তবে তিনি এটা বিরোধীদের কাজ বলে মনে করছেন। তবে এও বলেন যদি দলেরও কোন কর্মী এর সাথে যুক্ত থাকে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে শান্তিপুর পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর দীর্ঘদিনের বলিষ্ঠ তৃণমূল নেতৃত্ব যতন সরকারের বাড়ি। বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ কর্মী সমর্থকরা আজ সকালে তার হস্তক্ষেপ দাবি করেন এ বিষয়ে। এ প্রসঙ্গে যতন সরকার বলেন, এটা নিন্দনীয় ঘটনা তবে কে বা কারা এর সাথে যুক্ত আছে, তা খতিয়ে দেখার কথা জানাবো পুলিশকে। এ ধরনের ঘটনা এর আগেও বেশ কয়েকটি ঘটেছে, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করে দিতেই এ ধরনের চক্রান্ত করে কিছু সুবিধাবাদী ব্যক্তি।
অন্যদিকে ক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা, তারা বলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক এবং সর্বোপরি কালী মায়ের ছবি এভাবে ছিঁড়ে ফেলা এবং তা পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে রাখা দোষীকে অবিলম্বে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপুর থানার পুলিশ, খতিয়ে দেখছে বলেই জানা গেছে। এলাকায় দুটি সিসি ক্যামেরা থাকলেও, ওই ব্যানারের অবস্থান অনুযায়ী তা সংগ্রহ করতে যথেষ্ট নয়।
তবে পুলিশ অন্যান্য সূত্র মাধ্যমে অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করছে।