সায়গলের আরো ৮ দিন ইডি হেফাজত
নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মন্ডলের একসময়ের ছায়া সঙ্গী সায়গল হোসেন এখন ইডি হেফাজতে।দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে শুক্রবার সায়গলকে উপস্থিত করা হয়।
এদিন ইডি-র তরফে আবেদন করা হয়েছে, যাতে সায়গলের মা ও স্ত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। এর আগেও সায়গলের আত্মীয়দের তলব করা হয়েছে। গোরু পাচার মামলার তদন্তে সায়গলের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে ইডি।
শুধু স্ত্রী ও মা নয়, সায়গলের শালাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। মোট আট জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান তাঁরা। ইডির তরফে এদিন আদালতে জানানো হয়েছে, সায়গলকে জেরা করে ইডির গোয়েন্দারা অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ মনীশ কোঠারি ও জাভেদ জাফরির নাম পেয়েছেন। উল্লেখ্য, অনুব্রতর হিসাব রক্ষক ছিলেন মনীশ কোঠারি।
ইডি স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন তুলেছেন,একজন কনস্টেবল হয়ে কী ভাবে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন? সায়গলের বিপুল সম্পত্তি এখন ইডি-র আতস কাঁচের নীচে। আগেই সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে, সেখানে উল্লেখ রয়েছে সায়গলের নাম। তদন্তকারী সংস্থা উল্লেখ করেছিল, অনুব্রতর হয়ে গোরু পাচারের টাকা নিতেন সায়গল। সেই সূত্র ধরে পরে অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে আসানসোল জেলে থাকলেও সুপ্রিম কোর্ট ইডি-র আবেদন মঞ্জুর করার পর তাঁকে দিল্লি নিয়ে এসে জেরা
সায়গলের আইনজীবী সায়গলের স্ত্রী ও মাকে দিল্লি ডেকে পাঠানোর বিরোধিতা করে বলেন,সায়গলের স্ত্রীর একটি ২ বছরের বাচ্চা আছে – যে সম্পূর্ণভাবে তার মায়ের উপর নির্ভরশীল।আর সায়গলের মা একজন পঙ্গু মানুষ।এদের দিল্লিতে ডাকলে এরা আসবে কি করে?এই বিষয়ে আদালত এখনো কোনো রায় দেয় নি তবে ইডির আবেদন অনুযায়ী আরো ৮ দিন সায়গলকে ইডি হেফাজত দিয়েছে।