মহাকাশে বাঁদর পাঠাচ্ছে চীন – তৈরি হয়েছে বিতর্ক
নিউজ ডেস্ক::প্রথম চন্দ্রাভিযানে কুকুর পাঠানো নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছিলো।এবার আবার বিতর্ক তৈরি করছে চীন।
সূত্রের খবর,চিনের তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনের কাজ চলছে জোর কদমে। মহাকাশ স্টেশনটির কাজ শেষ হলে, সেখানে বাঁদর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। মহাকাশে শূন্য মাধ্যাকর্ষণে আদৌ প্রজনন সম্ভব কি না, সেই বিষয়ে গবেষণা করতে চিন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।চিনের তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে মডিউলে এই পরীক্ষাটি হবে বলে জানা গিয়েছে।
চিনের অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের গবেষক ঝাং লু জানিয়েছেন, এই পরীক্ষাগুলো মূলত মাইক্রোগ্রাভিটি বা মহাকাশের পরিবেশের সঙ্গে জীবের অভিযোজন কেমন হয়, তা জানার জন্য করা হচ্ছে। এই পরীক্ষা সফল হলে অভিযোজন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে মডিউলটিতে শ্যাওলা বা মাছের মতো জীবের জায়গা রয়েছ। বাঁদরের মতো বড় প্রাণীর জায়গা নেই। মহাকাশ স্টেশনটিতে বাঁদরের মতো জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
বাঁদরকে মহাকাশে পাঠালে একাধিক প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে। প্রথমত বাঁদরটির পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করতে। বাঁদরটি বর্জ্য পদার্থ মহাকাশেই থাকবে। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন মহাকাশের মতো পরিবেশে থাকতে থাকতে বাঁদরটি মানসিক অবসাদে চলে যেতে পারে। শূন্য মাধ্যাকর্ষণ অঞ্চলে বাঁদরের প্রজননেও একাধিক সমস্যা দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে, বাঁদর যেহেতু বড় প্রাণী, তাই কীভাবে সঙ্গীর ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, তা বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবেন।
তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, বাঁদরের খাওয়া ও বর্জ্য ফেলা সব থেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মহাকাশে বাঁদরগুলো কোনওভাবেই ভালো থাকবে না।
প্রধানত দুটো কারণে এই গবেষণা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।প্রথম,মানুষ কেন এক বা একাধিক নিরীহ প্রাণীর জীবন নিয়ে খেলা করবে।দ্বিতীয়,এতে ওই পরিবেশের যথেষ্ট ক্ষতি হবে।যার প্রভাব সারা পৃথিবীতে পড়বে।