ভ্রমণ – বেলপাহাড়ি ও বাঁশ পাহাড়ি
নিউজ ডেস্ক::ঝাড়গ্রাম আসলে শাল,পিয়াল,মহুয়া,শিরীষ,ইউক্যালিপটাস,বয়রা, হরতকি, সোনাঝুড়ি, ঝাউ,বেল,বাঁশ ইত্যাদি বনের 'ঝাড়' নিয়ে গঠিত।সেই ঝাড়গ্রামের অন্যতম দুটি স্ফীতভুমি বা ছোট টিলাময় উঁচু জমি হলো বেলপাহাড়ি ও বাঁশপাহাড়ি।
কিছুদিন আগেও এই অঞ্চল ছিল গভীর অরণ্যে ঘেরা আদিবাসী অঞ্চল।এখানকার প্রকৃতির মনোরম শোভায় ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে একটা ট্যুরিস্ট স্পট।যাঁরা শহুরে কোলাহল থেকে একটু দূরে নিবিড় প্রকৃতির জগতে দু’একদিনের জন্য যেতে চান, তাদের জন্য আদর্শ জায়গা ঝাড়গ্রামের অদূরেই বেলপাহাড়ি ও বাঁশপাহাড়ি।অজস্র সবুজের মাঝে পাখির কাকলিতে আপনি নিজেকে হারিয়ে ফেলুন দু’এক দিনের জন্য।আপনি মনের খোরাক পূর্ণ করে ফিরে আসবেন দু’দিন পরে।
বেল পাহারির ৯ কিমি দূরে ‘ঘাগড়া’ আর তার একটু পিছনেই কংসবতী নদীর বুকে গড়ে উঠেছে ‘তারাফেনি’ ব্যারেজ।সঙ্গে গাড়ি থাকলে অথবা গাড়ি ভাড়া নিয়ে ঘন্টা তিনেকের মধ্যেই ঘুরে আসা যায় এই দুই জায়গা।এখানে আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়া ততটা না লাগায় রাস্তাগুলে মখমলের মত মসৃণ।
থাকা-খাওয়া – বেলপাহাড়িতে থাকবেন বনদপ্তরের বাংলোতে।ওদের ওখানেই খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।এ ছাড়াও কিছু প্রাইভেট হোটেল গড়ে উঠেছে।এখন সবাই on line booking হয়।
এখন থেকে দু'এক দিনের জন্য চলে আসুন বাঁশপাহাড়ি।বেল পাহাড়ির মতো অতটা উন্নতি না হলেও এখানেও প্রকৃতি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে।এখানে কয়েকটা এমন বাঁশবন আছে যেখানে হারিয়ে যেতে মন চাইবে।'গুপি গাইন বাঘা বাইন' সিনেমার সেই বাঁশ বন থেকেও অনেক গভীর বাঁশবন এখানে।সামান্য উপরে আবার শাল, পিয়াল,মহুয়া,শিরীষ এর গভীর বন।এই দুই বনেই খরগোশ,বেজি,শিয়াল,বাঁদর,হয়েনা সহ অজস্র পাখি ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘুরে বেড়ায়।কখনো হাতির দলও এসে হাজির হয় খাদ্যের খোঁজে।
বেলপাহাড়ি থেকে ২৫ কিমি দূরে বাঁশ পাহাড়ি।এই দু’জায়গাতেই পাবেন সরল আদিবাদীদের অনাড়ম্বর জীবনকাত্রার ছবি।এখানেও আছে বন দপ্তরের বাংলো।বাংলোতে আছে খাবার সুব্যবস্থা ও কয়েকটা ছোট হোটেল।
যাওয়া আসা – ঝাড়গ্রাম থেকে ৪৫ কিমি দূরে বেল পাহাড়ি।তার থেকে ২৫ কিমি দূরে বাঁশপাহাড়ি।ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুর থেকে সরাসরি বাস যায় বেল পাহাড়ি ও বাঁশ পাহাড়ি।বাসগুলো বেশ আরামদায়ক।অথবা এই দুই স্টেশন থেকেই চার চাকার গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়।ভাড়া বেল পাহাড়ি ৬০০ – ৮০০ টাকা আর বাঁশ পাহাড়ি আরো ২০০/৩০০ টাকা বেশি।ড্রাইভারকে বলে রাখলে ফেরার দিন ও এসে আবার নিয়ে যাবে।