ভ্রমণ – কার্শিয়াং এর গ্রাম সিটং

0 0
Read Time:2 Minute, 55 Second

নিউজ ডেস্ক::সিটং ভ্রমণের আদর্শ সময় এখন অর্থাৎ নভেম্বর ডিসেম্বর মাস।আপনি ভাবুন বেশ গরম জামা কাপড় পরে একটা ঠান্ডা পাহাড়ে আপনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর আপনার দুদিকে যতদূর চোখ যায় শুধু কমলা লেবু ঝুলছে গাছে।আসলে আমরা দার্জিলিংয়ের লেবু বলতে যা বুঝি তার বেশিরভাগই এই গ্রামের।
নিরিবিলি গ্রাম। বাড়ির সংখ্যাও কম। মূলত লেপচাদেরই বাস এখানে। একটা ছড়ানো উপত্যকা এটা। চারপাশ খোলা। দূর-দূর পর্যন্ত যতটুকু চোখ যায় শুধুই পাহাড়।

ধাপে ধাপে ঘরবাড়ি যেন দেশলাই বাক্সের মতো সাজিয়ে রাখা। সিটং-এর আসল বৈশিষ্ট্য হল দার্জিলিংয়ের বিখ্যাত কমলালেবুর সিংহভাগই উৎপন্ন হয় এই সিটং গ্রামে। যেদিকেই চোখ যাবে দেখবেন গাছে ঝুলছে পাকা কমলালেবু। তবে বাগানির থেকে না পরামর্শ নিয়ে কমলালেবুতে না হাত দেওয়াই ভালো। আপার সিটং-এ আছে একটি শতাব্দী প্রাচীন গুম্ফা বাঁশ আর মাটি দিয়ে তৈরি। গ্রামে রয়েছে একটি অতি প্রাচীন গির্জাও। দুটোই দেখে নিতে পারবেন পায়ে হেঁটেই।  

গাছে কমলালেবু ঝুলছে দেখতে হলে আপনাকে এখানে আসতে হবে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। এই সময় বেশ ভালো শীত উপভোগ করতে পারবেন। দেখবেন পাহাড়ি রাস্তার ঢাল বেয়ে মেঘ-কুয়াশার খেলা। আর তা যেন কমলালেবুর গ্রামকে আরও রহস্যময় করে তোলে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখান থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অপরূপ। চারদিকে একাধিক পাহাড়ের বরফে মাখা চূড়া চোখে পড়ে।

এনজিপি থেকে আড়াই ঘণ্টা লাগে সিটং আসতে।দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার।গাড়ি ভাড়া কমবেশি ২০০০/২৫০০ টাকা।

সিটং-এ রয়েছে একাধিক হোমস্টে। তবে শীতের সময় অনেক পর্যটকই এখানে আসেন কমলালেবু দেখতে। তাই থাকার জায়গার অভাব পড়তেই পারে। আগে থেকে সেক্ষেত্রে বুক করে আসাই ভালো। থাকার জন্য বেছে নিতে পারেন সিটং হোমস্টে, সিটং ভ্যালি হোমস্টে, সিটং অরেঞ্জ ভিলা অ্যান্ড নেচার ক্যাম্প, সিটং অরেঞ্জ গার্ডেন হোমস্টে, মেঘবিতান হোমস্টে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!