ভ্রমণ – বেথুয়াডহরী ভ্রমণ

0 0
Read Time:1 Minute, 49 Second

নিউজ ডেস্ক: ‘বেথুয়া’একধরনের শাক আর ‘ডহরী’ অর্থ জলাভূমি।নদীয়ার এই অংশে একসময় ছিল নিম্ন জলাভূমি আর সেখানে প্রচুর বেথুয়া শাকের জঙ্গল ছিল।১.২১ বর্গকিমি অঞ্চল জুড়ে একটি অভয়ারণ্য তৈরি করা হয়েছে।১৯৫৮ সালে জমি অধিগ্রহণ করে অভয়ারণ্য গড়ার কাজ শুরু হয়।অনেক সময় লাগে ওই কাজ শেষ করতে।পরে ১৯৮০ সালে ওই অভয়ারণ্য খুলে দেওয়া হয়।
শুধু নিরালা ও নৈঃশব্দের মধ্যে সবুজে ঘেরা জঙ্গলে যদি দু’একদিন কাটাতে চান তাহলে আদর্শ জায়গা ঘরের পাশেই বেথুয়াডহরী অভয়ারণ্য।এখানে ঘুরে বেড়ায় প্রচুর চিতল হরিন,বেজি,খরগোশ,বাঁদর।এদের সংখ্যা যাতে দ্রুত বেড়ে না যায় তাই আছে অনেক অজগর।তৃণভোজীদের জন্য প্রচুর তৃণভূমি – সব মিলিয়ে একটা বেশ গা ছম ছম করা পরিবেশ।আর এখানকার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এই অভয়ারণ্যের নৈঃশব্দ।

শিয়ালদা থেকে সোজাসুজি ট্রেনে বেথুয়াডহরী যাওয়া হয়।ঘন্টা দুই সময় লাগে।অথবা গাড়িতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে গেলে এই অভয়ারণ্যের গেটে গিয়ে পৌঁছাবেন।

অভয়ারণ্যের ভিতরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিথি নিবাস আছে।ঠিক গেটের বাইরে অনেক বেসরকারি হোটেল ও লজ আছে।
তাহলে চলুন এক বা দু’দিনের জন্য ‘নৈঃশব্দের’ স্বাদ নিতে ঘুরে আসি বেথুয়াডহরী।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!