পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই, হুঙ্কার শুভেন্দুর

0 0
Read Time:4 Minute, 34 Second

নিউজ ডেস্ক::ফের উত্তাল বিধানসভা। এবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। কিন্তু স্পিকার জানিয়ে দেন সেটি বিচারাধীন বিষয়। তারপরেই সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার। তারপরেই বিধানসভায় অধিবেশন কক্ষের বাইরে বিক্ষোভ দেখােত থাকেন বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্বে রয়েছেন শুেভন্দু অধিকারীর। তিনি দাবি করেছেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই।

ফের বিধানসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিধানসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিদানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। সেকানেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রীতিমত হুঙ্কার দিয়েছেন য়াঁরা এই দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন সেই মন্ত্রীদের গ্রেফতার করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে থাকা পুরো মন্ত্রিসভার গ্রেফতারি দাবি করে বিক্ষোভে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন কারা নিয়োগ করল এই অযোগ্য প্রার্থীদের তার কৈফিয়ৎ দিতে হবে সরকারকে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আজকে একটা মুলতুবির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরো মন্ত্রিসভা অযোগ্যদের চাকরির সুপারিশ করে হাইকোর্টে পাঠিয়েছিল। মন্ত্রিসভার দায়বদ্ধতা থাকে বিধানসভার কাছে। আমাদের বলা হল বিচারাধীন বিষয়, পড়তে দেওয়া হবে না। আমি নিশ্চিত এটা বড় দুর্নীতি। একটা মন্ত্রিসভা মেধাদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের সুপারিশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী সহ ৪০ জন মন্ত্রীর জেলে যাওয়া উচিত।’

অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। এই মামলায় হাইকোর্টে হাজিরা দিয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশেই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে। তার আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনও পেয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এই প্রক্রিয়া পুরোটাই আইন বিরুদ্ধ বলে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি অবিলম্বে সেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে বলেছেন। না হলে তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে আর্জি জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন থেকেই বিজেপি একের পর এক অভিযোগে মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। প্রথম দিনেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে করা কুকথা প্রতিবাদে অখিল গিরির বহিষ্কার দাবি করে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আসে। তার পরের দিন ডেঙ্গি নিয়ে আনা হয় মুল তুবি প্রস্তাব। তার পরের দিন সারের কালোবাজারি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। আর সোমবার অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!